‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি অরাজকতা করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, 'রাজশাহীতে বিএনপি সেমিফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়েছিল, ৭ দিন চেষ্টা করেও তেমন লোক জড়ো করতে পারেনি। আমরা ড্রোনে তোলা ছবিতে দেখেছি, বিএনপির সমাবেশের মাঠ ছিল ফাঁকা ফাঁকা। এই বাহাদুরি নিয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গিয়ে ফাইনাল খেলবেন এবং তারপর থেকে আপনাদের (বিএনপি) কথামতো দেশ চলবে-এটি মুর্খের স্বর্গে বাস করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, 'বিএনপির এই দুঃস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না। ১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন, বিএনপি কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাৎক্ষণিক দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।'
রোববার দুপুরে রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ৭ বছর পর জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এরপর পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গম্ভীরা।
সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন উদ্বোধক বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রায়ে ক্ষমতায় আছে। আমরা কারো দয়ায় ক্ষমতায় নেই। বিশ্বের উন্নত দেশে যেভাবে ক্ষমতাশীন সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সেইভাবে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি না আসে তাহলে, বিএনপিকে তার খেসরাত দিতে হবে।
লিটন আরও বলেন, তারেক জিয়া লন্ডনে বসে দিনের পর দিন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে যাচ্ছে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, যিনি নিজেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, যে স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। সেই তারেক জিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে বড় জুয়ারি হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছে, এটা কতবড় লজ্জার।
রাজশাহী সিটি মেয়র বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বছরে চার কোটি মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না।
রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. তাজবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ তারিন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকসহ অন্যান্যরা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সম্মেলন পরিচালনা করেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু।
Comments