বিএনপি নেতাকে না পেয়ে ছেলেকে আটক

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবির ছেলেকে আটক করেছে বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতা
রোবায়েত ইশফাক প্রিয়তম। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবির ছেলেকে আটক করেছে বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত আনুমানিক ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷

মনিরুল ইসলাম রবি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোররাত আনুমানিক ১টার দিকে আমার বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়৷ ওই সময় বাসায় আমার স্ত্রী ও ছোট ছেলে ঘুমাচ্ছিল৷ শতাধিক পুলিশ সদস্য বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে৷ তল্লাশি চালিয়ে পুরো ঘর তছনছ করে।'

পুলিশ সদস্যরা অন্তত এক ঘণ্টা তার বাসায় অবস্থান করেন উল্লেখ করে রবি আরও বলেন, 'আমি কোথায় আছি তা পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয়৷ আমাকে না পেয়ে আমার ছোটছেলে রোবায়েত ইশফাক প্রিয়তমকে (২০) ধরে নিয়ে যায়৷'

তিনি আরও বলেন, 'গত একমাসে জেলার বিভিন্ন থানায় যেসব মামলা হয়েছে সেগুলোতে আমি আসামি না৷ আগের রাজনৈতিক মামলাগুলোতেও আমার আগাম জামিন আছে৷ আমার ২ ছেলের কেউই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না৷ তাদের নামে থানায় মামলা নেই৷'

রোবায়েত ইশফাক প্রিয়তম নারায়ণগঞ্জ কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র উল্লেখ করেন মনিরুল ইসলাম রবি।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, 'গায়েবি মামলার কারণে আমি আগে থেকেই ঘরছাড়া৷ এখন আমাকে না পেয়ে সন্তানকে তুলে নেওয়া হচ্ছে৷ তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সেই খোঁজ নিতে পারছি না৷'

'শুনেছি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাকি ছেলেকে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ কিন্তু খোঁজ নিতে থানায় যেতে পারছি না৷ গেলেই গ্রেপ্তার করবে৷ সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনকে ব্যবহার করছে,' যোগ করেন তিনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতরাতে কয়েকটি স্থানে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। সন্দেহভাজন হিসেবে রোবায়েত ইশফাক প্রিয়তমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে৷ তার বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে৷'

'বিগত সময়ে নাশকতামূলক কাজে তার সম্পৃক্ততা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

3h ago