নয়াপল্টন থেকে মির্জা ফখরুলকে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেড়িয়ে সকাল পৌনে ১১টার দিকে নয়াপল্টনের নাইটিংগেল মোড় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে আসেন মির্জা ফখরুল।
তবে, পুলিশ তার গাড়িটি নাইটিংগেল মোড়েই সেখানেই আটকে দেয় এবং বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যেতে বাধা দেয়।
এ সময় মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, 'সরি স্যার, বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।'
এর উত্তরে পুলিশ সদস্যদের তিনি বলেন, 'আমি আমার কার্যালয়ে যেতে পারব না? এটা কেমন কথা?'
এ ঘটনার পরে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমি গাড়ি নিয়ে নয়াপল্টনে আমাদের কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমার গাড়ি আটকে দেন। তিনি বলেন, "এখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে, এখানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন চলছে। ইনভেস্টিগেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে যেতে দিতে পারব না।" তখন আমি তাকে বলেছি, আমি তো দলের মহাসচিব, আমিও যেতে পারব না। তিনি আমাকে বললেন, "না আপনাকেও যেতে দিতে পারব না। কাউকেই যেতে দিতে পারব না। আমার এখতিয়ারে নেই।"'
তিনি আরও বলেন, 'তার কাছে আমি জানতে চাই যে কেন যেতে পারব না। তিনি আমাকে জানালেন, কেন কাউকে যেতে দিতে পারবে না সেটা তার জানা নেই।'
এর আগে গতকাল বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপির ১ জন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আজকের পুলিশি সন্ত্রাসে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। সর্বশেষ জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত আমাদের একজন নেতা মারা গেছেন। আরও অন্তত একজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।'
'আশঙ্কাজনক আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। পুলিশের আকস্মিক বর্বরোচিত আক্রমণে আমরা এখনো সম্পূর্ণ তথ্য পাইনি। আহতদের খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি,' বলেন তিনি।
গতকাল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। এই নেতারা ছাড়াও বিএনপির ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
Comments