বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী আব্দুস সাত্তারকে সরাইল ও আশুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, বিএনপি
আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি থেকে সদ্য পদত্যাগ করা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকেলে সরাইল প্রেস ক্লাবে এবং একই সময়ে আশুগঞ্জ উপজেলা সদরে পৃথক সভা করে এই ঘোষণা দেন দুই উপজেলা শাখা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আশুগঞ্জে তার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষারকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতারা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সেজন্য তিনি ও তার ছেলেকে আশুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। যদি দলীয় নেতা-কর্মীদের কেউ তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ওই সভায় আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির মুন্সি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, একই সময়ে সরাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ওই উপজেলাতেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, 'দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় গতকাল রোববার দিনগত রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কার করা হয়। তিনি জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা লাভের আশায় দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে যুক্ত হয়েছেন। এ জন্য উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন করতে এলে তাকে প্রতিহত করা হবে।'

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে বিএনপির আরও ছয়টি আসনের সঙ্গে এই আসনটিও শূন্য হয়। এরপর বিএনপি থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তিনি এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এই আসনে ক্ষমতাসীন মহাজোট কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

6h ago