হাঁকডাক শেষ পর্যন্ত কী হলো, ঘোড়ায় ডিম পাড়ল: কাদের

আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র বিকাশের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র বিকাশের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) প্রকৌশলী সমিতির ৩০তম সম্মলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ এমন একটি দল, যে দল ঘরে যেমন গণতন্ত্রের চর্চা করে, দেশেও গণতন্ত্র বিকাশের চেষ্টা করে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র বারেবারে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, স্বৈরশাসনের যাতাকলে পৃষ্ঠ হয়েছে। এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আজকে বিরোধী দল একটা দেশে থাকবে। বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে। কিন্তু, বিরোধিতার খাতিরে বিরোধী এবং বিরোধিতার নামে, আন্দোলনের নামে যদি জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসের মতো সহিংসতার উপাদান যুক্ত হয়, তখন সেখানে গণতন্ত্রের ভাষা স্তব্ধ হয়ে যায়। এটা গণতন্ত্র নয়।'

'বিরোধী দল আন্দোলন করবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে স্বাগত জানাই। আমরা ১০ ডিসেম্বর দেখেছি। ১০ ডিসেম্বরের পর আমরা আরও একটা দিবস দেখেছি, ৩০ ডিসেম্বর। হাঁকডাক, শেষ পর্যন্ত কী হলো, ঘোড়ায় ডিম পাড়ল। এসব হাঁকডাকে ঘোড়াও হাসে। কিছুই না, চারদিকে শঙ্কা, এই হবে, সেই হবে, সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কিছুই হলো না। শেষ পর্যন্ত ফলাফল অশ্বডিম্ব। কাজেই আমরা হাঁকডাক, হুমকি-ধামকি, সরকার পতন, শেখ হাসিনা এসব ভয় পান না। আল্লাহ ছাড়া তিনি কাউকে ভয় করেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান স্বাগত জানাই। কিন্তু এটা সহিংস রূপ ধারণ করলে আমরা জনগণের জানমাল রক্ষায় সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত। এটা আমি আবারও জানিয়ে রাখলাম', বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'আবারও বলছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইজ নাউ অ্যা ডেড ইস্যু, উচ্চ আদালতের রায়ে এ ইস্যু এখন আর জীবিত নেই। কাজেই ডেড ইস্যু নিয়ে আবার নতুন করে তোড়জোড়, হাঁকডাক, এটা অবশ্যই গণতন্ত্র অ্যালাউ করে না। দেশের জনগণও করে না।'

'আমি সবাইকে আহ্বান জানাব, গতকালও গাইবন্ধায় একটা উপনির্বাচন হয়েছে। কেউ এ নিয়ে কথা বলতে পারছে না। রংপুরে আমরা শোচনীয়ভাবে হেরেছি, তারপরেও আমরা জনগণের রায় মেনে নিয়েছি। এটাই গণতন্ত্র। আগামী নির্বাচনও অবাধ-সুষ্ঠু হবে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃত্বপূর্ণ হবে, স্বাধীন থাকবে, যাতে করে একটা সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন করা যায়। সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। কাজেই সরকারের পরিবর্তন যদি কেউ চায়, নির্বাচনে আসুন। পরবর্তী নির্বাচনই পারে সরকার পরিবর্তন করতে। জনগণ চাইলে আমরা আছি, না চাইলে আমরা নেই। আমাদের নেত্রীর যে কথা বলেছেন, আমি তারই প্রতিধ্বনি করছি', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

A paradigm shift is needed for a new Bangladesh

Paradigm shifts on a large scale involve the transformation of society.

2h ago