যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, আমরা ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো

হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, আমরা ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভারত থেকে আসা সাংবাদিক প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশের স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার—আমরা সেটি লালন করি, বুকে ধারণ করি, প্রতিপালন করি। সেই কারণে আমাদের দেশে প্রতি বছর উৎসবের মাত্রা বাড়ে। সেটি মুসলিম বা হিন্দু সম্প্রদায়ের। গত বছর দুর্গা পূজায় মণ্ডপের সংখ্যা তার আগের বছরের চেয়ে কয়েকশ বেশি ছিল। প্রতি বছর এটি বাড়ে এবং সরকার সে ক্ষেত্রে সহায়তা করে নানাভাবে। এখানে যে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি; আমি মনে করি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ।'

'ঢাকা ও কলকাতা প্রেসক্লাবে দুজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভোটে জিতেছেন, কেউ তাদের বসিয়ে দেয়নি। এই বিষয়টা কেউ মাথায় রাখে না। কেউ কেউ মাথায় ঢোকানোর চেষ্টা করেন। সে অপশক্তি আমাদের দেশে আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সে অপশক্তি প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশে বিএনপি। আমি আওয়ামী লীগ করি বলে বলছি না,' বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, 'সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প যখন যেখানে ছড়ানো হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তৃত করেছে বিএনপি ঘরানার লোকজন, তাদের সমর্থক, তাদের নেতা ও কর্মীরা। এখানে সমস্ত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি জোটের সদস্য। এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক, কারণ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে বাঙালিদের জন্য একটি রাষ্ট্র করতে বাংলাদেশের অভ্যুদয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান থাকতে পারে না।'

বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের উভয় দেশের সাংবাদিকদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন; কোনো অখ্যাত বা অনিবন্ধিত অনেক পত্রপত্রিকা থাকে সেগুলো দেখা যায়, কোনো একটি সংবাদ প্রকাশ করল যার কোনো ভিত্তি নেই। সেটা আবার অনেকে কপি করে। সেটা নিয়ে অস্থিরতা তৈরি হয়। এগুলোর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।'

ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, '১৯৭১ সালে আমাদের মৈত্রী রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। আমরা বাংলাদেশিরা, এ দেশের সমস্ত নাগরিক, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমরা ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। ১৯৭১ সালে ভারত শুধু সীমান্ত খুলে দেয়নি-ঘরের দুয়ার খুলে দেয়নি, মনের দুয়ারও খুলে দিয়েছিল। ঘরের দুয়ার সীমান্ত যেমন খুলে দেওয়া হয়েছিল, ভারতের মানুষ তাদের মনের দুয়ার খুলে দিয়ে অনেক মানুষ নিজে না খেয়ে বা কম খেয়ে এ দেশ থেকে যাওয়া শরণার্থীদের খাইয়েছে। সেটি আমাদের দেশের মানুষ যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মনে রাখবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Trump started this war, we will end it, says Iranian military

Iran vowed to defend itself a day after the US dropped 30,000-pound bunker-buster bombs onto the mountain above Iran's Fordow nuclear site

1d ago