সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে: সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

রোববার সকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল মনোনয়নপত্র জমা দিতে নির্বাচন কমিশন ভবনে যান
আওয়ামী লীগ, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ওবায়দুল কাদের,
মো. শাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু গণমাধ্যমকে বলেছেন, সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে।

এর আগে, আজ রোববার সকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল মনোনয়নপত্র জমা দিতে নির্বাচন কমিশন ভবনে যান।

ওই প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও উপস্থিত আছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নিজেও নির্বাচন কমিশনে যান।

এসময় ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, 'বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কাছে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।'

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে চুপ্পু ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা না দিলে আগামীকাল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচন কমিশন তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করতে পারবে।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একাধিক প্রার্থী থাকলেই নির্বাচন হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পেশায় একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতোপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন  এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও, তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

Comments