কারাগারে থাকা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা

এসআই অজিত কুমার দাস বলেন, এজাহারে ভুল হতে পারে, তদন্তকারী কর্মকর্তা যাচাই করবেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসার উদ্দিন (৪৫) | ছবি: সংগৃহীত

নাশকতার মামলায় গত ২ মার্চ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসার উদ্দিন (৪৫)। উচ্চ আদালতের জামিন আদেশের অনুলিপি না পৌঁছানোয় এখনো তিনি কারাগারেই আছেন।

গত ১ এপ্রিল রাতে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় আবারও তাকে আসামি করা হয়েছে।

গাজী আফসার উদ্দিনের বাড়ি খুলনার লবণচরা থানার জিন্নাহপাড়ায়।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১ এপ্রিল দুপুর ৩টার দিকে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। ওই রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করে। এতে বিএনপির ৫৯ নেতা এবং অজ্ঞাতনামা ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, ওই মামলার ৪০ নম্বর আসামি গাজী আফসার উদ্দিন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কারাবন্দি নেতার নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে পুলিশ এসব করছে।'

গাজী আফসার উদ্দিনের আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বছরের ২ ডিসেম্বর খুলনার লোয়ার যশোর রোডের বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ভবনে হামলার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগের ক্ষতি ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে খুলনা সদর থানার পুলিশ। চলতি বছরের ২ মার্চ গাজী আফসার উদ্দিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩ মার্চ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।'

তুষার আরও বলেন, '২৭ মার্চ উচ্চ আদালত তাকে জামিন দিলেও সেই আদেশের অনুলিপি এখনো পৌঁছায়নি। যে কারণে তিনি কারাগারেই আছেন। কারাগারে থেকে কীভাবে তিনি পুলিশের ওপর হামলা করবেন?'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় ওই আসামি কারাগারে আছেন, তাহলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

এই মামলার বাদী ও খুলনা সদর থাকার উপপরিদর্শক (এসআই) অজিত কুমার দাস বলেন, এজাহারে ভুল হতে পারে, তদন্তকারী কর্মকর্তা যাচাই করবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Holidaymakers throng beach towns amid four-day festival

The recent rise in travellers comes as a relief for the tourism industry in Cox's Bazar, Kuakata and Sylhet as these regions were suffering from low turnout in July, August and September this year.

39m ago