‘শেখ হাসিনার সার্থকতা আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে’

হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সার্থকতা সেখানেই, আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।'

তিনি আরও বলেন, 'আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।'

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, '১৯৮১ সালের ১৭ মে আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম "ঝড়-বৃষ্টি, আঁধার রাতে শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে"। গত ৪২ বছরের পথচলায় আওয়ামী লীগের কোন নেতা কতটুকু শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন কিংবা আছেন। আমরা যারা স্লোগান দিয়েছিলাম, আমরা কে কতটুকু শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকতে পেরেছি সেটি একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।'

তিনি বলেন, 'ঝড়-বৃষ্টি, আঁধার রাতে সমস্ত দুর্যোগ-দুর্বিপাকে শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের সঙ্গে থেকেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে এসেছে। তাই ১৯৮১ সালের ১৭ মে ব্যক্তি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নয়, গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি নেতারা অনেক কথা বলেন। ফখরুল সাহেবের (বিএনপি মহাসচিব) বক্তব্য আমি পত্রিকায় পড়ছিলাম; আমাদের সরকার নাকি দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে। দেশের সমর্থন দেখার জন্য ওনাকে অনুরোধ জানাই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে।'

আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রসঙ্গে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অভ্যর্থনার বর্ণনা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, 'ফখরুল সাহেবরা যদি এগুলো বুঝতে না পারেন, তাহলে ফখরুল সাহেবদের কানের পরীক্ষা করা দরকার। এগুলো যদি দেখতে না পারেন—চোখের পরীক্ষা করা দরকার।'

তাদের সংগঠন ড্যাবের ডাক্তাররা দেখতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'তারা যদি দেখতে না পারে আমাদের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সহায়তা করতে পারে। তারা আসলে বিশ্বময় শেখ হাসিনার যে গ্রহণযোগ্যতা সেটি দেখেও দেখে না, ‍বুঝেও বোঝে না। না বোঝার ভান করে থাকে।'

'আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সার্থকতা সেখানেই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেশ রচনার সার্থকতা সেখানেই যে, আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন আজকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা সব সূচকে, ইকোনমিক ইনডেক্স, সোশ্যাল ইনডেক্স, হিউম্যান ইনডেক্স, হেলথ ইনডেক্স—সব সূচকে আমরা অনেক আগে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি,' বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সোশ্যাল ইনডেক্স, হিউম্যান ইনডেক্স, হেলথ ইনডেক্সে আমরা ভারতকেও অনেক আগে অতিক্রম করেছি। আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। আর এই সাফল্যে ভারত ও পাকিস্তানে টেলিভিশন টক শো, রাজনৈতিক অঙ্গনে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসার ঝড় বয়ে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago