ভোট চুরি করে আ. লীগ জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যত অপকর্ম করছে, যত মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, গুম, খুন হচ্ছে, তা শুধু ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ভোট চুরি করে আজ তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
রোববার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ পরাজিত। আজ তাদের কোনো রাজনীতি নেই।'
বিএনপির আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আজকের এই আন্দোলন ভোটের অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা ও বাক-স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। এই আন্দোলন বিএনপির নয়, বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন। এই আন্দোলন এখন আন্তর্জাতিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সমস্যা এখন আন্তর্জাতিকীকরণ হয়ে গেছে। সমগ্র বিশ্ব আজ বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।'
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, 'বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটাই প্রথম নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের মানুষের মানসম্মানের হানি করেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগকে চালায় কিছু আওয়ামীমার্কা পুলিশ, আওয়ামীমার্কা দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগ যত অপকর্ম করছে, যত মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, গুম, খুন হচ্ছে, তা শুধু ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ভোট চুরি করে আজ তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে নিঃস্ব করেছে।'
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, 'যারা গণতান্ত্রিক সমাবেশে হামলা করবে, বাধা দেবে, ভাঙচুর করবে তাদের ছবি তুলে রাখবেন। তাদের ব্যবস্থা হবে।'
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন ও মো. শরিফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন প্রমুখ।
Comments