হেনস্তার পর পুলিশে হস্তান্তর: মহিলা দলের কর্মী নাদিয়া কারামুক্ত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে 'ছাত্রলীগের হাতে শারীরিক হেনস্তার’ শিকার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সেই কর্মী নাদিয়া নুসরাত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে 'ছাত্রলীগের হাতে শারীরিক হেনস্তার' শিকার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সেই কর্মী নাদিয়া নুসরাত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম তার মুক্তির কথা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

মিরসরাই থানার ওসি মো. কবির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন 'নাদিয়ার বিরুদ্ধে আমার থানায় কোনো অভিযোগ নেই। তার ভাই একটি অস্ত্র মামলায় আসামি।'

গত ১৪ জুন রাতে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার ইছাখালী ইউনিয়নের একটি বাজারে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে নাদিয়া নুসরাতকে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পুলিশে দেওয়ার আগে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। পরদিন তাকে নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নাদিয়ার রাজনৈতিক সহকর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে সরব হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।

গত শুক্রবার জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহরে বিএনপির সমাবেশ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় আরও ২ জনের সঙ্গে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন নাদিয়া। স্থানীয় লোকজন তাদের মাথায় বিএনপির টুপি দেখে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।'

ওসি আরও বলেন, 'তিনি (নাদিয়া) নাশকতার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না। তবে তদন্তে তার নাম পাওয়া গেছে।'

যারা নাদিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'তারা কারা এবং তাদের পরিচয় কী, তা আমি জানি না।'

অভিযোগ অস্বীকার ছাত্রলীগের

নাদিয়াকে হেনস্তা ও পুলিশে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানার দাবি, ঘটনাটির সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

তিনি বলেন, 'গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় এলাকার লোকজন চার যুবকের সঙ্গে নাদিয়াকে আটক করে পুলিশে খবর দিয়েছিল। এ সময় চার যুবক পালিয়ে যান। পরে পুলিশ নাদিয়াকে আটক করে।'

Comments