নাটোর

যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিএনপি কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নাটোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির এ অস্থায়ী কার্যালয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস দুলুর বাসায় অবস্থিত।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু অভিযোগ করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে তেবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে বসেছিলেন। এ সময় জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।'

তারা বিএনপি কার্যালয়ে টাঙানো ব্যানার-ফেস্টুন, সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তবে ইট-পাটকেলের আঘাতে কেউ আহত হয়নি।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে বিএনপি বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জান আসাদ, যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এদিকে, বিএনপি কার্যালয়ে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোনো নেতাকর্মী বিএনপি কার্যালয়ে হামলা করেনি।'

'আমরা আমাদের কর্মসূচি শেষ করে বিএনপি অফিসের পাশ দিয়ে এসেছি। বিএনপি অফিসে অন্য কেউ হামলা করতে পারে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ জড়িত নয়,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago