বোমা রাখার খবর পেয়ে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, 'বিএনপি কার্যালয় থেকে বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা দলীয় কার্যালয়ে চাল, ডাল, খাবার-দাবার জমা করেছে বলে শুনেছি।'

'তারা চাল-ডালের বস্তার মধ্যে ককটেল নিয়ে রেখেছে। আমরা সেখানে নাশকতাবিরোধী অভিযান চালিয়েছি,' বলেন তিনি।

আজ বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।

বিকেলে পুলিশের একটি দল বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। বর্তমানে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তাসহ পল্টন এলাকায় বর্তমানে হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'বিনা উসকানিতে বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।'

১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, 'আমরা তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমোদন দিয়েছি। তারা হয় সোহরাওয়ার্দীতে যাবে, মিরপুর কালশী আছে, ইজতেমা মাঠে যেতে পারেন, পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠে যেতে পারেন।'

'১০ লাখ লোক নিয়ে পল্টনে সমাবেশ করার কোনো জায়গা নেই। জনদুর্ভোগের দায়িত্ব এবং জননিরাপত্তা যদি বিঘ্নিত হয়, তার দায়িত্ব নিতে আমরা রাজি না,' যোগ করেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপির রাজনীতি করার যে অধিকার, আইনের মধ্যে থেকে তারা করবেন এটা আমরা বিশ্বাস করি। আইনের মধ্যে থেকেই তারা জনদুর্ভোগ কমিয়ে সমাবেশ করবেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।'

ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'তারা আগেও সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করেছেন, পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। এখন যদি উনারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে, উনাদের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ডিএমপির। উনাদের নিরাপত্তার সামান্য কোনো ঘাটতি হবে না।'

'তারপরও যদি তারা রাজনৈতিক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে রাস্তায় জনসমাবেশ করতে চান, আমরা কোনোমতেই সেটার অনুমোদন দেবো না। আইন ভেঙে যদি তারা সমাবেশ করতে চান, আমরা প্রচলিত আইনে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো,' যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

46m ago