সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ

আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় পুলিশের চেক পোস্ট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
আমিনবাজার ২০ শয্যা হাসপাতালের সামনে চেকপোস্ট থেকে আটকানো কয়েকজনকে প্রিজনভ্যানে তুলছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার প্রবেশ পথ আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় পুলিশের চেক পোস্ট থেকে সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত ৪০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম আজ বুধবার এই অভিযোগ করেন।

খোরশেদ আলম দুপুর আড়াইটার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের বাঁধার মুখে আমরা সমাবেশে যেতে পারিনি। আমাদের ভাড়াকৃত ৪০টি মাইক্রোবাস আটকে দেয় পুলিশ। পরে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্য বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে যাচ্ছিলেন। সমাবেশে যাবার পথে আমিনবাজার চেকপোস্ট থেকে আমাদের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া বিরুলিয়া চেকপোস্ট থেকে সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ ১০ থেকে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে সাভার মডেল থানায় রাখা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।'

তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চেকপোস্ট থেকে কাউকেই তুলে নেওয়া বা আটক করা হয়নি।'

আমিনবাজার চেকপোস্টে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম বলেন, 'এটা নিয়মিত চেকপোস্টের অংশ। সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে কেউ যেন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে কাউকেই আটক করা হয়নি।'

Comments