ভোট চুরির সব পন্থা ভেঙে চুরমার করে দেবো: আমীর খসরু

আমীর খসরু
আজ বুধবার নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী | ছবি: সংগৃহীত

জনগণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদায় চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভোট চুরির সব পন্থা ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হবে।

আজ বুধবার নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু, '১ দফা ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিয়েছে? জাতি আজকে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। জাতি আজকে মুক্তির অপেক্ষায় একটি ঘোষণা চায়। আন্দোলন সফল হয়েছে, লক্ষ জনতা রাস্তায় আছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্যাসিস্টকে বিদায় দেওয়ার জন্য।'

আওয়ামী লীগ 'পাবলিক সেন্টিমেন্ট' বুঝতে পেরে ভোট চুরির প্রকল্প নিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এই ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করেছে।'

আমীর খসরু বলেন, 'সম্প্রতি ২৭ জন জেলা প্রশাসককে পদায়ন করা হয়েছে। অনেক পুলিশ অফিসারদের পদায়ন করা হয়েছে। যারা মন্ত্রীদের পিএস, সচিবের পিএস। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যারা আছেন। একটা সুবিধা হচ্ছে, নামগুলো আমরা সব পেয়ে গেছি। আগামী দিনে বাংলাদেশে যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এরা কেউ এ পদে থাকতে পারবে না; সরকারি কর্মচারী-পুলিশ।'

'বিচার বিভাগকেও কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতির আয়ত্তে এনেছে। এই যে বিভিন্ন দলীয় বিচারক সৃষ্টি করেছে। যারা আজকে জামিন দিচ্ছে না, মিথ্যা মামলা গ্রহণ করছে। আগামী দিনগুলোতে মিথ্যা মামলা, বানোয়াট মামলাগুলো তরান্বিত করে বিএনপি নেতাকর্মী শূন্য করার চেষ্টা করছে—সাবধান! বাংলাদেশের মানুষ জেগেছে। ভোট চুরি করার জন্য যতগুলো পন্থা করেছেন, সব ভেঙে চুরমার করে দেবো আমরা,' বলেন এই বিএনপি নেতা।

তিনি আরও বলেন, 'এই ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের সাবধান করে দিচ্ছি। সাবধান হয়ে যান, এই এই ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে থাকবেন না। থাকলে বাংলাদেশের মানুষের সম্মুখীন হতে হবে।'

আমীর খসরু বলেন, 'কেউ রেহাই পাবে না। জনগণ জেগেছে, যেতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধানের অধীনে নির্বাচন, সেটা ভুলে যান।'

'সংবিধানের অধীনে যদি নির্বাচন হতো, আজকে সমস্ত দেশের বিদেশিরা কেন বাংলাদেশে আসছে? কেন নিরপেক্ষ নির্বাচন-মানবাধিকারের কথা বলছে? তারা কি ভারতে যাচ্ছে? তারা কি ভুটান-শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে? সবাই বাংলাদেশে আসছে কারণ শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না এটা সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago