‘বিদেশিরা কে কী বলল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না, মানুষের দাবি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হলো বক ধার্মিক। এখন চুপ করে আছে। ক্ষমতায় যাবার জন্য নতুন করে ফাঁদ পেতে আছে। তারা এখন বিদেশিদের দেখাচ্ছে কত ভালো তারা।’
মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'বিদেশিরা কে কী বলল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দেশের মানুষের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। জনগণের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন। এক দফা এক দাবি। পদত্যাগ না করলে ফয়সালা রাজপথেই হবে।'

আজ রোববার চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ির নুর আহম্মেদ সড়কে দলীয় কার্যালয়ে এক শ্রমিক মহাসমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে নগরীর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক দলের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আওয়ামী লীগ হলো বক ধার্মিক। এখন চুপ করে আছে। ক্ষমতায় যাবার জন্য নতুন করে ফাঁদ পেতে আছে। তারা এখন বিদেশিদের দেখাচ্ছে কত ভালো তারা। বিরোধীদলকে মিছিল মিটিং করতে দেয়। সময় এলে আবার আগের রূপে ফিরে যাবে তারা।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চায়। তাদের চরিত্র ভালো না। তাদের উদ্দেশ্য শুধু লুট করা। নতুন করে ক্ষমতায় যাবার জন্য তারা কৌশলে প্রশাসনকে সাজাচ্ছে। তাদের মন্ত্রী এমপিদের পিএস এপিএসদের বিভিন্ন জেলায় ডিসি পদে বসানো হচ্ছে, পছন্দের লোকদের ইউএনও বানাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এখন ঠুঁটো জগন্নাথ ।'

সরকার বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে গেলে, নিম্ন আদালত নেতাকর্মীদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠাচ্ছে। তাহলে উচ্চ আদালত কীভাবে জামিন দেয়? সরকার বিচারকদের চিঠি দিয়ে ২ মাসের মধ্যে ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা শেষ করার কথা বলেছে।'

'অত্যাচার এতটাই বেড়েছে আমাদের পিছু হটার সুযোগ নেই। আগামী ১৯ তারিখ পদযাত্রা বিজয়ের জন্য যাত্রা। আমাদের আন্দোলন বাধ্য করবে দাবি মেনে নিতে', যোগ করেন তিনি।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন `বিদেশিরা অন্য দেশে না গিয়ে কেন এখানে এসেছে? এরা ভোট চোরের আস্তানা ভেঙে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে এসেছে। তাদের কথা অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন।'

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'বিদেশিদের সমর্থনের ভিত্তিতে আমাদের রাজনীতি নির্ভর করে না। তবে তাদের সমর্থনে জনগণ খুশি হয়, রাস্তায় নামে। মূল দায়িত্ব আমাদের। আমাদের জয়ী হতে হবে।'

সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বান্দরবান বিএনপির নেতা ম্যামাচিং।

Comments

The Daily Star  | English
Badiul Alam Majumder

Elections won’t be unacceptable without AL: Badiul Alam

Dr Badiul Alam Majumdar, secretary of 'Citizens for Good Governance' (SHUJAN), has said elections will "not be unacceptable" without Awami League's participation..AL has completely destroyed the electoral system in this country by conducting "dummy, one-sided and midnight" elections, he sa

16m ago