রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ভোগান্তি হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে
রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মদিবসে সমাবেশের আয়োজন করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার মতো কর্মসূচি থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকতে বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, 'হয়ত ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে, জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে হতে পারে।'
আজ বুধবার সকালে পবিত্র আশুরা পালন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে লালবাগে হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ কমিশনার বলেন, 'আগামীকাল আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ৯টি দল সমাবেশের জন্য ডিএমপির কাছে আবেদন করেছে। আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে কয়েকটি দলকে সমাবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। রাজনৈতিক সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।'
'রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করব কর্মদিবসে বিশাল সমাবেশ করে ঢাকা মহানগরকে স্থির করে দেওয়া এবং কয়েক লাখ জনগণকে রাস্তায় যানজটে আটকে রাখা—এসব বিষয় মাথায় রেখে তারা ভবিষ্যতে কর্মদিবসে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকবে,' বলেন তিনি।
'সেইসঙ্গে অনুরোধ করব যারা সমাবেশস্থলে আসবেন, তারা যেন লাঠিসোটা, ব্যাগ নিয়ে না আসেন, কোনো নাশকতা হওয়ার সম্ভাবনা যাতে না থাকে,' যোগ করেন তিনি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার একই দিনে ও কাছাকাছি সময়ে রাজধানীতে সমাবেশ ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে 'তারুণ্যের সমাবেশ' করে বিএনপি। সেই সমাবেশ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘোষণার পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় 'শান্তি সমাবেশে'র ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠন।
বলা হয়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেইটে জড়ো হবেন, ১টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, বিকাল ৩টা থেকে শুরু হবে সমাবেশ।
অন্যদিকে, যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিএনপির মিত্র দলগুলোও রাজপথে নানা কর্মসূচি নিয়ে থাকছে। চরমোনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ ডেকেছে।
Comments