ঝিনাইদহে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫, ইউপি ভবন ভাঙচুর

আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ইউপি ভবনেও ভাঙচুর চালানো হয়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ৭ জন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে মালেক মোল্লা ও শরিফুল মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে শরিফুল মোল্লার অনুসারী বাবলু হোসেনকে মারধর করে মালেক মোল্লার অনুসারীরা। এরপর থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। 

আজ বুধবার বিকেলে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে ডাকেন। তিনি উপস্থিত হওয়ার আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জামাল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। 

মালেক মোল্লা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ও শরিফুল মোল্লা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাগরের অনুসারী বলে জানা গেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সংঘর্ষে আহত ৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জামাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, দুই পক্ষকে মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছিল। সেখানে এমপির উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি উপস্থিত হওয়ার আগেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে বলে ওসি মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন।
 

Comments