‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার’ যে বিবরণ দিলো বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে দলের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
ধোলাইখালে আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশের পিটুনির শিকার হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে দলের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বহু নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সারাদিনের চিত্র তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, 'বিএনপির ডাকা আজকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ও দলীয় সন্ত্রাসীদের অন্যায় ও বেআইনিভাবে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে রাজধানীতে যে তাণ্ডব চালিয়েছে, আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।' 

মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, 'মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ও ভাঙচুর করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ খবর বেরিয়েছে যে, পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজেরা অপরাধ করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিচ্ছি।'

ধোলাইখাল এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

নয়াবাজার, ইউসুফ মার্কেট

বিএনপি জানায়, নয়াবাজার ধোলাইখালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি আবু আশফাক, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সদস্য ফিরোজ আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর, সদস্য এ কে এম হারুন অর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক হাজী কামাল হোসেন, ডেমরা থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য শাহিন, আসাব উদ্দীন, মনির হোসেন, আরমান, সিহাব, আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, সবুজ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন, সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কাইয়ুম ব্যাপারী, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা গুড্ডু, সূত্রাপুর থানা বিএনপি নেতা সঞ্জিব দেব জনি, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ মোল্লা, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, পিরোজপুর জেলা যুবদলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আল ইমরান, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সহ-পাঠাগার সম্পাদক সাজিদ বাবু, রংপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আকিবুর রহমান মনু, জেলা যুবদল নেতা সালেনুর, নারায়ণগঞ্জ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ, যুবদল নেতা হারুন, যুবদল নেতা আজিজুল বারি, আরিফ খান, শাহিন শরীফ, সাফিন, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এস এম মাসুদ রানা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মোর্শেদ আলম, সবুজবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. জামাল হোসেন, মো. ফজল, সূত্রাপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাদিম হোসেন, কামরাঙ্গীরচর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির, ইসমাইল, রিয়াজ, শাহবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিরাজ হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিয়াউর রহমান জীবন, কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হুমায়ন কবির সৈকত, কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন হোসেন, মো. হানিফ, মো. ইদ্রিস, মো. জোবায়ের আলম সুমন, মো. শিপন, মতিঝিল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. হোসেন, পল্টন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খন্দকার কবির হোসেনসহ শতাধিক জনতা।
 
এসময় পুলিশ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।

হামলায় আরও আহত হয়েছেন, কলাবাগান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক সৈকত, খিলগাঁও মডেল কলেজের সদস্য সচিব ফারুক মিয়া, পল্টন থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমতিয়াজ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজান আহম্মেদ শান্ত, যুগ্ম আহ্বায়ক রিমি, আলমগীর হোসেন, নকিব, শাহবাগ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হাসান রাকিব, ধানমন্ডি থানা ছাত্রদল নেতা চঞ্চল, নিউমার্কেট থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল, শাহিন ও কলাবাগান থানা ছাত্রদলের নেতা মো. সবুজ মিয়া।

গাবতলী

গাবতলীতে হামলায় আহত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। 

এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান ইয়া-হিয়া, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য শরিফুল ইসলাম চান, সাটুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মহসিন উজ্জামান, শ্রমিক দলের সহ-সম্পাদক আবু বক্কর রুবেল, ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেল হোসেন, জাহাঙ্গীর, মো. সোহেল, মো. জিহাদ, আব্দুল্লাহ, আবু তালেব, রাব্বি, বিজয় এবং কলাবাগান থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মনির হোসেনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। 

এ ছাড়াও, পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু আব্বাসসহ প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অবস্থান কর্মসূচি থেকে আদাবর থানা কৃষক দলনেতা সবুজ, রূপনগর থানাধীন ৯২ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমান, দক্ষিণ খান থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও কাফরুল থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।

মাতুয়াইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ। ছবি: এমরান হোসেন

শনির আখড়া

অবস্থান কর্মসূচি থেকে দাউদকান্দি ছাত্রদল নেতা মো. কাউসার মোল্লা, সোহাগ প্রধান, সাকিল চৌধুরী, তুষার সরকার, আলমগীর আহম্মেদ তালুকদার, মেহেদী হাসান মিহাদ, আরিফ হোসেন, রায়হান উদ্দিন রনি, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রদল নেতা নাজমুল সরকার, শরীফ, পারভেজ, সাকিল, সোলায়মান, হোসেন, সাদেক, বিল্লাল, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন বুলু ও যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল হক টুটুলকে আটক করে পুলিশ। 

এ ছাড়াও, হামলায় যাত্রাবাড়ী থানা মৎস্যজীবী দলের নেতা মিলন, শহিদ, অপু, জামাল, কুমিল্লা মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জ মৎস্যজীবী দলের নেতা সাকিল, সোহাগ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জেড আই কামাল, কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সৈনিক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম বিপ্লবসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদরাতুল বারি আবু, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা সালাউদ্দীনকে আটক করে পুলিশ। 

শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা সালাউদ্দীনকে আটকের পর এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিএনপি।

হামলায় আহত হয়েছেন দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজ মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম রফিক, গোলাম রাব্বানী রবিন, কামরুল ইসলাম তপু, রুবেল আহম্মেদ রানা, শ্যামপুর থানা ছাত্রদল নেতা মো. রাকিব হোসেন, মো. তারেক, কদমতলী থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, আশিকুর রহমান সুজন, মো. জহির, মো. জীবন, ছাত্রদল নেতা আরিফিন আরিফ, বংশাল থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মান্নান হীরা, আশিকুর রহমান হীরা, ইমরান হোসেন আকাশ, ছাত্রদল সদস্য নূর হোসেন মনা, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইয়াসিন, সাধারণ সম্পাদক দীপু ইসলাম ইমন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পারভেজ রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান আহম্মেদ, লালবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন বাপ্পি, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক জুনায়েদ হাসান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিল মাতুব্বর, চকবাজার থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসান রনি, ছাত্রদল নেতা ইমরান, কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ফয়সাল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন মায়া, ওয়ারী থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি ইসলাম নাঈম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন মুন্না, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিয়ান রবিন, মো. আশিক, সোহরাওয়ার্দী কলেজের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিল আহম্মেদ সেতু, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মোনায়েম বিল্লাহ মারুফ, ডেমরা থানা ছাত্রদল নেতা নুরুদ্দীন, সাইদুল ইসলাম, শ্যামপুর থানা কৃষক দল নেতা আসাদ উদ্দীন, মনির খন্দকার, যাত্রাবাড়ী থানা কৃষক দল নেতা পারভেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, শ্যামপুর থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক দলের সভাপতি সিরাজ হাওলাদার, পটুয়াখালী সদর শ্রমিক দল নেতা জাকির ফকির, সালাম হাওলাদার, মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলনেতা শামুদ মৃধা, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সগির, খিলগাঁও থানা শ্রমিক দলনেতা মাসুদ, মিজান, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিজান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলনেতা শাহ আলম মোল্লা, গেন্ডারিয়া শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ইয়াসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, মো. শাহিন, মো. নাসির, সোহরাব, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম, যাত্রাবাড়ী থানা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. জুয়েল, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলনেতা আবদুল করিম, ৫১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলনেতা তৈয়ব আলী।

এ ছাড়াও, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক লিটন মিয়া, বিএনপি নেতা স্বপন, হাফিজুর রহমান, মো. নাদিম, মো. আল-আমিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মাতুয়াইলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিশা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: দীপন নন্দী/স্টার

মুক্তি সরণি

মুক্তি সরণিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখওয়াত হোসেন।

এ ছাড়াও, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুপ খান টিপু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

এ সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। 

উত্তরা

অবস্থান কর্মসূচি থেকে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, জামালপুর কেন্দুয়া কালীবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা ভূইয়া, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানার মো. আদনান খানকে আটক করে পুলিশ। 

এ ছাড়াও, পুলিশি হামলায় দক্ষিণ খান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিদ উদ্দীন দেওয়ান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, খিলক্ষেত থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পান্না ইয়াসমিন, ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা রাজিব, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য শামীম আহম্মেদ, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সিরাজুল ইসলাম, তারাকান্দা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মামুন ফকির, কৃষক দলের সভাপতি শাহিন কবির, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোকাদ্দাস আলীসহ বহু নেতাকর্মী আহত হন। 

অবস্থান কর্মসূচি থেকে বনানী থানা কৃষক দলনেতা কাউছার, উত্তর খান থানা কৃষক দলনেতা শিমুলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

বিএনপি আরও জানায়, গতকাল মহাসমাবেশের পর পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকন এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক কামরুজ্জামানদের বাড়িতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা এবং ভাঙচুর চালায়।

এ ছাড়া, তারা স্থানীয় মেহেদী হাসান ও বিএনপি নেতা আব্দুল মতিনের দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। 

 

Comments