আন্দোলন-সংগ্রাম করুক আপত্তি নাই, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী

আন্দোলন-সংগ্রাম করুক আপত্তি নাই, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির অপকর্মের কারণে জরুরি অবস্থা এসেছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা যখন ২০০৯-এ সরকার গঠন করি, তখন আমাদের রিজার্ভ কত ছিল? ১ বিলিয়নও ছিল না। বোধ হয় শূন্য দশমিক ৭৪ এ রকম ছিল। আমাদের আর্থিক সংগতি তেমন ছিল না। তার ওপর চরম বিশৃঙ্খলা ছিল। বিএনপির ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বোমা, গ্রেনেড হামলা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং—এসব অপকর্ম, যার ফলে দেশে ইমার্জেন্সি হয়। ২০০৭-০৮ ইমার্জেন্সি। এই অবস্থার মধ্যে দেশের অর্থনীতি একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে এবং একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা। সেই সবগুলো গুছিয়ে আনতে সময় নেয়।'

'আজকের আমাদের অর্থনীতি; যদিও মুদ্রাস্ফীতির চাপ আছে, তারপরও কিন্তু গতিশীল রাখতে পেরেছি,' বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একটি দেশের যখন উন্নতি হবে, সেই উন্নতিটা হবে তৃণমূল থেকে। আমি কয়েকদিন আগে গ্রামে গেলাম। এখানে জিনিসের দাম নিয়ে যত হাহাকার গ্রামে কিন্তু সেটা নাই। সেখানকার মানুষ কিন্তু ভালোই আছে। তারা নিজেরা উৎপাদন করছে এবং তারা চলতে পারছে ভালোভাবেই,' বলেন তিনি।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একটু আন্দোলন সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সাথে আছে…যারা আন্দোলন করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। সেটা কখনই মেনে নেওয়া যাবে না। আন্দোলন-সংগ্রাম যাই করুক তাতে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দিবো না।'

'একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি, তাদের মনের বৈরীতা কিন্তু এখনো কেটে যায়নি। সেটা অতিক্রম করেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সেটাই আমি বলতে পারি,' বলেন শেখ হাসিনা।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy in early 2025

According to the latest data from the United Nations High Commissioner for Refugees (UNHCR), 2,589 Bangladeshis landed in Italian shores in January and February this year while 1,206 went to the European country in the two months last year

2h ago