লুটেরাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না: সিপিবি
মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে, দুঃশাসন কায়েম করে, লুটেরাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।
তারা আরও বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচন করে সাম্রাজ্যবাদ ও লুটেরা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে দেশ পরিচালনা করলেই কেবল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বদলা নেওয়া হবে। কারণ সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এর মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু সংঘঠিত হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র উন্মোচনে ট্রুথ কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানান।
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, 'পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সূচিত প্রগতিশীল ধারাকে উল্টে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসনের অধীনে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন করে দেশকে পশ্চাৎমুখী করা হয়েছিল।'
'এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের স্বার্থের বিপরীতে পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারাতেই দেশ পরিচালনা করছে। তারা সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতা বর্জন করে সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণ করে ক্ষমতায় টিকে আছে,' বলেন তিনি।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্পষ্টতই একটি দেশবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭৫ এর আগে থেকেই আমাদের দেশে পুঁজিবাদী ধারা শুরু হয়েছিল। এই সুযোগে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ১৫ আগস্ট তাদের ষড়যন্ত্র কার্যকর করে।'
তিনি সংবিধানের অসম্পূর্ণতা দূর করে ৪ মূলনীতির ভিত্তিতে '৭২ এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সিপিবির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'দেশ একটি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছে। অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের দিকে। এ সময় সরকারের উদ্যোগ মানুষের বিপরীতে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।'
সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
Comments