ভোট চোরদের বিদায় করতে চট্টগ্রামে সুনামি তৈরি করতে হবে: আমীর খসরু
'ভোট চোরদের বিদায় করতে আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে রোডমার্চের মাধ্যমে সুনামি তৈরি করার' আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বুধবার বিকেলে নগরীর কাজির দেউরী নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে প্রস্তুতিসভা চলাকালে বিএনপি অফিসের বাইরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল এক এনামের গ্রুপ ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন নেতাকর্মী আহত হন। তবে সভায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, 'বিএনপির রোডমার্চ মূলত এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের রোডমার্চের উদ্দেশ্য এটাই। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাব না কেউ। ভোট চোরদের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।'
'এদের এবার ছাড় দেওয়া যাবে না', যোগ করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় দলনেতা মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন।
আমীর খসরু বলেন, 'রোডমার্চে কুমিল্লায় একটি বড় জনসভা হবে ও চট্টগ্রামে একটি হবে। আর মাঝখানে যেগুলো হবে সেগুলো পথসভা। আমাদের পথসভাগুলো জনসভার মতোই।'
তিনি আরও বলেন, 'আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামে ঝড় তুলতে হবে। ৫ অক্টোবর হবে সুনামি। চট্টগ্রাম আগেও ঝড় তুলেছে। এবারও ঝড় তুলতে পারবে।'
'খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাকে বিনা বিচারে, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে ভোট চুরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে জেলে নিয়ে গিয়েছিল। এখন বাড়িতে আটকে রেখেছে। তার অসুস্থতার কারণ সম্বন্ধে অনেক সন্দেহ আছে', যোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জেলখানায় বর্তমানে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ জেগেছে। খালেদা জিয়ার শরীর কী পর্যায়ে এভাবে এসেছে এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই জেলখানায় মারা যাচ্ছেন। অনেকে জেলখানা থেকে বের হয়ে মারা যাচ্ছেন।'
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়ার এই গুরুতর অসুস্থতার কারণে যদি কোনো কিছু হয়, তবে এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট রেজিমকে বাংলাদেশের জনগণের সম্মুখীন হতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না।'
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে। আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করব। জীবন দিয়ে হলেও এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। দুর্নীতিবাজদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করব।'
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়কশাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, এবং বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতারা।
Comments