সাভার-কেরাণীগঞ্জে বিএনপির ৭১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২ মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৫০

আমিনবাজারে বৃহস্পতিবার বিএনপির সমাবেশ। ছবি: স্টার

ঢাকার সাভার ও কেরাণীগঞ্জে বিএনপির ৭১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার আমিনবাজারের সমাবেশ শেষে ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

এসব অভিযোগে শুক্রবার সাভার ও কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানা সূত্র জানায়, সাভারের হেমায়েতপুর তানিম ফার্নিচার কারখানা সংলগ্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবুসহ বিএনপির প্রায় ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

অপরদিকে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জের ওয়াশপুর এলাকায় একটি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা হয়েছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায়। 

এ মামলায় বিএনপির ৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামী করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগও আনা হয়েছে।

সাভার থানায় করা মামলার বাদী সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি নেতাকর্মীরা আমিনবাজারের সমাবেশ শেষে ফেরার পথে হেমায়েতপুর এলাকায় অতর্কিতভাবে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ মামলায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার নেই।'

কেরাণীগঞ্জ থানায় করা মামলার বিষয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর অর রশীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা ফেরার পথে ওয়াশপুর এলাকায় একটি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করার পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং স্থানীয় কয়েকজনকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের ওপরও হামলা করে তারা।'

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে এবং বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মামলায় কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান তিনি।

এদিকে এসব মামলা গায়েবি ও ভিত্তিহীন দাবি করে ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নেতাকর্মীদের ভয় দেখাতে আওয়ামী লীগের লোকজন নিজেরা অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।'

যোগাযোগ করা হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মো সালাহউদ্দিন বাবু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেসব অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোনো ঘটনাই সাভারে ঘটেনি। ককটেল বিস্ফোরণ হলো আর কেউ জানলো না? গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমন করতে ও নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে চায় তারা।'

এ ২ মামলার বিষয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে। নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হলে পরিণতি ভালো হবে না। মিথ্যা মামলার এ চর্চা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের আন্দোলনে যাব।'

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

9h ago