অবরোধের তৃতীয় দিন: গাবতলীতে যাত্রী নেই, ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস

যাত্রীশূন্য গাবতলী। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের শেষ দিনে রাজধানী ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, গাবতলীতে বিভিন্ন বাসের কাউন্টার খুলে কর্মীরা বসে আছেন। কিন্তু যাত্রী নেই। হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী দেখা গেছে। সকাল থেকে স্বল্প দূরত্বের কয়েকটি বাস ছেড়েছে। রাতে বাস ছাড়বে—এই আশায় কয়েকজনকে আজ রাতের বাসের টিকিট কেটেছেন।

গাবতলীতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঝিনাইদহগামী সাত যাত্রীকে। তাদের একজন সুবেদ আলী (৭০) সকাল সাড়ে ১১টায় ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল ৭টা বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি বাসও পাচ্ছি না। ঝিনাইদহগামী বাসগুলোর কাউন্টারে গিয়ে তাদের অনুরোধ করেছি আমাদের সাতজনকে নিয়ে একটি বাস ছাড়তে। কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছে না।

'আমাদের মধ্যে একজন অসুস্থও আছেন। কিন্তু কিছুই করার নেই। সন্ধ্যায় আগে কোনো বাস ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে না। হয়তো সন্ধ্যার পর দুয়েকটা বাস ছাড়তে পারে', বলেন তিনি।

হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এসডি সুমন পরিবহনের কর্মী মো. মেহরাব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল থেকেই যাত্রী নেই। অল্প যাত্রী নিয়ে তো বাস ছাড়া যায় না। ৩২ সিটের বাসে কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী না থাকলে আমাদের লোকসান হবে। লোকসান দিয়ে তো আমরা গাড়ি ছাড়তে পারব না। কিছু যাত্রী এলে হয়তো সন্ধ্যা নাগাদ বাস ছাড়া হতে পারে।'

ডেইলি স্টার প্রতিবেদক আরও জানান, গাবতলীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রায় আড়াইশ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে দলের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। পুলিশ সদস্যরাও সেখানে আছেন।

গাবতলী বাস কাউন্টারের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে জানান, বাস ছাড়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ও পুলিশ চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় তারা বাস ছাড়ছেন না।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, বাস মালিকদের অনেকে বিএনপির সমর্থক। তাই তারা বাস ছাড়ছেন না। সেই কারণেই আমরা তাদের বাস ছাড়তে বলছি।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Smaller Asian nations, including Bangladesh, have been hit with some of the most punitive duties under the Trump administration’s tariff policy. The official justification for these tariffs was to correct what the administration called unfair trade deficits, where countries export more to the United States than they import.

9h ago