ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক

পুলিশ পাহারায় পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারের সময় হামলা-ভাঙচুর, আহত ৪

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে কমপক্ষে ৫টি গাড়ি ভাঙচুরের সময় ৪ জন আহত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টায় বগুড়া সদর উপজেলার তিনমাথা এলাকায় বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। ৭টা ৫০ মিনিটে তারা একটি মিছিল নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে তেলিপুকুর এলাকায় যায়। এর ১০০ মিটারের মধ্যে সেসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নেয়। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে বিএনপির নেতাকর্মীরা হঠাৎ রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যানের চালক ফরহাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ পাহারা দিয়ে আমাদের গাড়ি পার করে দিচ্ছিল। সামান্য দূরেই আমাদের ডিপো। পুলিশের গাড়ি সামনে ছিল। হঠাৎ করে ৩০-৪০ জন রাস্তায় নেমে আসে। তারা আমাদের সবগুলো গাড়িতে ইটপাটকেল মারতে থাকে। আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে দিয়েছে।'

পন্যবাহী গাড়ি নিয়ে দিনাজপুর পার্বতীপুর থেকে গাড়িপুর যাচ্ছিলেন মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, 'দুধের গাড়ি নিয়ে বগুড়া তিনমাথা রেলগেটের কাছে আসলে পুলিশ বলে গাড়ি সাইড করতে। পুলিশ বলে ২০টি গাড়ি একসাথে যাবে। পুলিশের গাড়ি সামনে ছিল, এর পেছনে আমাদের গাড়ি। হঠাৎ করে অনেক লোকজন এসে ককটেল ছোড়ে, ইট মেরে গাড়ি ভাঙচুর করে।'

এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুলিশ এসে টিয়ারশেল ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা অভিযোগ করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের ছররা গুলিতে মাহমুদ নামে এক বিএনপির কর্মীসহ ৪ জন আহত হয়েছে।'

তবে এ অভিযোগ নাকচ করেছে পুলিশ।

ঘটনাস্থলে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির নেতাকর্মীরাই গাড়ি ভেঙেছে। পুলিশ তাদের নির্বৃত্ত করতে টিয়ারশেল ছোড়ে। শর্টগান থেকে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি।'

'বিএনপির লোকজন আমাদেরকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়েছে। ককটেলগুলো তাদের খুব কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়েছে। তারা নিজেদের ছোড়া ককটেলেই আহত হয়েছেন,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

9h ago