রাজনীতি

‘এত বিপদসংকুল দরিয়া পার হলাম, তার পরে আবার ভয় কীসের’

‘এখনো আমাদের এ আহ্বান সবার জন্য, সবাই আছে, আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে আমরা এ লড়াই, নির্বাচনী লড়াই অতিক্রম করতে চাই।’
‘এত বিপদসংকুল দরিয়া পার হলাম, তার পরে আবার ভয় কীসের!’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের ভোটাররা বিএনপিকে প্রতিহত করব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, প্রতিহত করবে। তাদের এই প্রতিহতের ঘোষণায় আওয়ামী লীগ শঙ্কিত কি না জানতে চাইলে কাদের গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'শঙ্কার এত পাহাড় এত খরস্রোতা নদী পার হয়ে এলাম। এখন আবার কাকে ভয় পাব? এত বিপদ সংকুল দরিয়া পার হলাম, তার পরে আবার ভয় কীসের! কোনো ভয় করি না। প্রতিহত যারা করবে; আমাদের লাগবে না। বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের ভোটাররা তাদের প্রতিহত করব।'

কাদের বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যাতিত; অর্থাৎ জনগণের রায় ছাড়া কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ক্ষমতা বদলে চিন্তাই কখনো করেনি। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে গণতন্ত্রের পরিবর্তে ষড়যন্ত্র নামক শব্দ কখনো সংযোজিত হয়নি। আমাদের কাজে, আমাদের আচরণে আমরা গণতন্ত্রকে অনুসরণ করেছি। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে অনুসরণ করে লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থেকেছি।'

সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখন আর কিছু নাই, সর্বশেষ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেছে। আর কী দিয়ে আন্দোলন! নেতা নেই, আছে ওই যে, আবাসিক প্রতিনিধি। আবাসিক প্রতিনিধির আবাস এখন আর নেই। হঠাৎ হঠাৎ কোন গোপন গুহা থেকে বের হয় মাবুদ আল্লাহ জানেন। নেত্রী একদিন বলছিলেন একজন অফিসারকে; দরকার নেই, একজন আছে বলুক। একজন আছে বলুক যা খুশি। বলা তো লাগবে। বিরোধী কণ্ঠ লাগবে না? তাকে ধরার এমন জোর কোনো চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। সে জন্য এখন খুব একজনে লাফালাফি করছে। হঠাৎ দেখি ডেমরার রাস্তায়, সঙ্গে পাঁচ থেকে সাত জন। কোথাও কোথাও ১০-১২ জন। এই করে করে আন্দোলন। আন্দোলনের নামে এটা প্রহসন।'

তিনি বলেন, 'এই করে কিছুই হবে না। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেছে। আমরা চাই না এমন নির্বাচন। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। এখনো আমাদের এ আহ্বান সবার জন্য। সবাই আছে, আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে আমরা এ লড়াই, নির্বাচনী লড়াই অতিক্রম করতে চাই। কাজেই যারা চিন্তা করতে আমরা শুধুমাত্র নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, আমরা নিজেরাই নির্ঘণ্ট উচ্চারণ করেছি; এ কথা মোটেও ঠিক না।'

নির্বাচন সংবিধানের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Comments