২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির ২১৮৩৫ নেতাকর্মী আটক: বিজেএএফ

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (বিজেএএফ) বলেছে, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির ২১,৮৩৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাউথ হলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (বিজেএএফ) বলেছে, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির ২১,৮৩৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

বিজেএএফ এর মহাসচিব কায়সার কামাল আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা দাবি করেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাউথ হলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কায়সার কামাল বলেন, গত ১৪ সপ্তাহে ৭৯টি মামলায় বিএনপির ১ হাজার ২৪৯ জন নেতাকর্মী আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পেয়েছেন।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সরকারের উদ্যোগের কথা বলেছিলেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'বারবার বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে, তারা যদি নির্বাচনে আসে, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে এবং পিছিয়ে দেওয়া নয়, বলা হয়েছিল তাদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।'

সাক্ষাৎকারে আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, '২০ হাজার (বিএনপি নেতাকর্মী) গ্রেপ্তার না করলে আজকে এই যে গাড়ি চলতেছে হরতালে, আপনি কি রাস্তায় গাড়ি দেখতেন? এ ছাড়া আমাদের জন্য কোনো গত্যন্তর ছিল না, কোনো অলটারনেটিভ ছিল না। যেটা করেছি, আমরা চিন্তাভাবনা করে করেছি।'

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের এই অকপট বক্তব্য 'ফ্যাসিবাদী' সরকারের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধীনস্থ করার স্বীকারোক্তি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিজেএএফ সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. বদরুদ্দোজা বাদল ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিজেএএফের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago