বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের মানে বোঝে না: দীপু মনি

বিএনপির চলমান ‘অসহযোগ আন্দোলন’ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের মানে বোঝে না। তাই জনগণকে তাদের সঙ্গে দেখা যায় না।
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মুহাম্মদপুর ইউনিয়নে গণসংযোগকালে দীপু মনি। ছবি: আলম পলাশ/স্টার

বিএনপির চলমান 'অসহযোগ আন্দোলন' নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের মানে বোঝে না। তাই জনগণকে তাদের সঙ্গে দেখা যায় না।

আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মুহাম্মদপুর ইউনিয়নে গণসংযোগকালে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এ সময় আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী আরও বলেন, 'বিএনপি কার বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন করছে? কাকে নিয়ে করছে? অসহযোগ মানে তো নাশকতা নয়। অসহযোগ মানে কি ট্রেনে-বাসে নারী-শিশু পুড়িয়ে হত্যা করা? যারা এই সমস্ত নাশকতা করে, তারা অসহযোগ মানে বোঝে না। অসহযোগ করার সুযোগও নেই তাদের।'

সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল এবং এগারো দফায় ২২ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।

পরে গত ২০ ডিসেম্বর বুধবার সরকারের বিরুদ্ধে 'সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে'র ডাক দেয় বিএনপি। এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সরকারকে কর, খাজনা এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিল পরিশোধ বন্ধ করে দেওয়া এবং ব্যাংকে আমানত না রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে। মামলার আসামি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারে নেমে আজ শাহ মুহাম্মদপুর ইউনিয়নের নারী ও পুরুষ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দীপু মনি। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

দীপু মনি ২০০৮ সালে প্রথম চাঁদপুর–৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago