মঈন খানকে ‘ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’

জনগণ আওয়ামী লীগকে বর্জন করেছে ভোটের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল থেকে 'হেফাজতে' নেওয়ার পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'কালো পতাকা মিছিল থেকে মঈন খানকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নেওয়া হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

তবে ডিএমপি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী উপকমিশনার মির্জা সালাহ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খানের নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে আমরা তাকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। পরে তাকে তার নিজের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বাসার উদ্দেশে চলে গেছেন।'

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ একদফা দাবি আদায়ে এদিন ঢাকা মহানগর উত্তর (জোন-২) বিএনপি কালো পতাকা মিছিল বের করেছিল। সেখান থেকে মঈন খানকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে উত্তরায় কালো পতাকা মিছিলে মঈন খান বলেন, 'আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, কারণ পাকিস্তানে গণতন্ত্র নাই। আজকে এই স্বাধীন দেশে, মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল একটি মাত্র কারণে যে, আমরা একটি দেশ চাই, যে দেশে গণতন্ত্র থাকবে।'

তিনি বলেন, 'আজকে আমরা সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নেমেছি। আমরা এই গণতন্ত্রের আন্দোলনে সামনে এগিয়ে যাব এবং এ দেশে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

'যতক্ষণ না আমাদের আদর্শ পালিত হচ্ছে এবং এই উদ্দেশ্য সাধন হচ্ছে, আমরা রাজপথে আছি, আমরা রাজপথে থাকব। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমরা মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনব, মানবাধিকার ফিরিয়ে আনব, সুশাসন ফিরিয়ে আনব, দুর্নীতি দূর করব,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran denounces US attack as ‘outrageous’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

11h ago