মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩

প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মুন্সীগঞ্জ সদরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, সাবেক ইউপি সদস্য ও আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়ার সঙ্গে একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন সরকারের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পূর্ব বিরোধের জেরে সুরুজ মিয়ার অনুসারী হানিফ দেওয়ান ও শামীমের নেতৃত্বে দুপুর ১২টার দিকে আলী হোসেনের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয় ও গুলিবর্ষণ করা হয়।

এতে শাকিল (২২), জুয়েল (২৫) ও আয়নাল (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে শাকিল ও জুয়েলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।'

সংঘর্ষের জেরে আলী হোসেনের লোকজন পরে ওই গ্রামের প্রতিপক্ষের দোকান ভাঙচুর করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে স্থানীয়রা জানায়।

জানতে চাইলে আলী হোসেন সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বকুলতলা এলাকায় সুরুজ মিয়ার লোকজন অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের গুলিতে আমাদের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।'

জানতে চাইলে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া গোলাগুলির বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার সমর্থকদের প্রায় ৭টি দোকান ভাঙচুর ও প্রায় ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আলী হোসেনের লোকজন। এতে আমাদের ৪-৫ জন আহত হয়েছে। আর গোলাগুলির বিষয়ে আমি জানি না।'

যোগাযোগ করা হলে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Abu Sayed murder case

Abu Sayed murder: ICT probe agency finds evidence against 30 including cops

ICT investigators told The Daily Star that they submitted their probe report to the prosecution on June 24.

15m ago