ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে: রিজভী

‘প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কতিপয় চিহ্নিত অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নানা ছুতায় ভোক্তার পকেট কেটে ফতুর করে দিচ্ছে।’
ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসিন্দা সায়মা বেগমের মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, 'আওয়ামী লুটেরা চক্রের কারণে ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা।'

তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ১ মার্চ থেকে আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। জন জীবনকে ভয়াবহ দুর্বিষহ করতেই গণবিরোধী সরকার সর্বনাশা পথে হাঁটছে। পবিত্র রমজান মাস সমাগত। সিয়াম-সাধনার এই মাসে দেশের জনগণ একটু স্বস্তি চায় কিন্তু প্রতিদিন রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে।'

নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'রমজান উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ৮ ফেব্রুয়ারি আলাদা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাল, চিনি, তেল ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর ঘোষণা দেয়। সেদ্ধ ও আতপ চালের আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে গত ১৯ দিনে বাজারে এসব পণ্যের দর এক আনাও কমেনি। বরং খোলা খাতায় প্রতিদিন দাম বৃদ্ধির ঘটনা দেখা যাচ্ছে। দফায় দফায় বাড়ছে চিনি ও খেজুরের দাম। প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কতিপয় চিহ্নিত অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নানা ছুতায় ভোক্তার পকেট কেটে ফতুর করে দিচ্ছে।'

'মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে, যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। অনাহার, অর্থ কষ্ট আর ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের ঘটনা কী মর্মান্তিক! কী বেদনাদায়ক! গতকাল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫), তার মেয়ে নয় বছরের ছাইমুনা ও সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এই মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না,' যোগ করেন তিনি।

Comments