বিজিবি জাতির আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী

বিজিবি জাতির আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিজিবি জাতির আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, যেন এ ধরনের ঘটনা কখনো না ঘটে।

এ সময় তিনি বিজিবি সদস্যদের শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড মেনে চলার আহ্বান জানান।

আজ সোমবার সকালে পিলখানার বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে তদানীন্তন ইপিআরের ভূমিকা উল্লেখ ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সাল, কেবল আমরা সরকার গঠন করেছি। ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ এখানে আমি প্যারেডে আসি। আমি অফিসারদের সঙ্গে বসি, কথা বলি। অত্যন্ত মেধাবী সব অফিসাররা ছিল তখন কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় পঁচিশ তারিখ এবং ছাব্বিশ ফেব্রুয়ারি; পঁচিশ তারিখ ঘটে এক অঘটন। সেই বিদ্রোহের ফলে এই বাহিনীর ৫৭ জন, সেনা কর্মকর্তাসহ আরও সাধারণ মানুষ, সব মিলিয়ে ৭৪ জন জীবন হারায়।'

তিনি বলেন, 'এই বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালকসহ যে সকল সদস্যরা নিহত হয়েছে, আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাদের পরিবারের প্রতি আমার সহমর্মিতা জানাই। স্বজনহারা বেদনা যে কী কঠিন, সেটা বোধ হয় আমার থেকে আর কেউ বেশি উপলব্ধি করতে পারে না।

'তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কারণ এ ধরনের ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে,' বলেন তিনি।

আমাদের দেশ মাতৃকা রক্ষায় সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি দেশের অর্থনীতির জন্য কাজ করে থাকেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রায় ১০ লাখের ওপর রোহিঙ্গা শরণার্থী আজকে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে আমাদের বিজিবিসহ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বা র‌্যাব সকলেই সেই এলাকাটা নজরদারি রাখছে। আমরা মানবিক কারণেই তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি। তবে মিয়ানমারের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে, যাতে আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাই এবং তাদের এই শরণার্থীদের আমরা ফেরত পাঠাতে পারি। তবে আমরা সেখানে কোনো প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া করতে যাইনি, তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই আমরা এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।'

তিনি আরও বলেন, 'সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী, পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, সেই অগ্নি সন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঘটনা ঘটেছে তখনো বিজিবি সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে আছেন এবং তাদের জানমাল রক্ষায় ভূমিকা রাখেন। জাতির একটা আস্থা-বিশ্বাস আপনারা অর্জন করেছেন।

'আমরা ইতোমধ্যে এই বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০ পাস করেছি। সেই সাথে সাথে একটি দক্ষ, শক্তিশালী ও আধুনিক ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আজ গড়ে উঠেছে। জল, স্থল, আকাশ পথেও দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

এ সময় তিনি বিজিবির উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

Comments

The Daily Star  | English

Polls could be held in mid-February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said the next general election could be held in the week before the start of Ramadan in 2026.

2h ago