নাটোরে বিএনপি নেতাকে পেটানোর অভিযোগ আ. লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে

আহত শাহীনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে পেটানোর  অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম কোয়েল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের সামনে পেটানো হয় শাহীনকে।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ডেইলি স্টারকে জানান, 'শাহীন আজ সকালে নাটোর জজ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে যান। ফেরার পথে নগরীর ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা প্রথমে একটি গাড়ি দিয়ে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। পরে তারা তাকে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙে দেয়।'

খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে আহত ফরহাদ আলী শাহীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগের কোয়েল, সেলিম, সজিব, প্রিন্স ও তাদের সহযোগীরা প্রথমে একটি গাড়ি নিয়ে আমার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। পরে রাস্তায় পড়ে গেলে আমাকে পেটায়।'

শাহীনের পায়ে তারা গুলি করেছে বলেও অভিযোগ তার।

যোগাযোগ করা হলে রাশেদুল ইসলাম কোয়েল অভিযোগ অস্বীকার করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনের ওপর হামলা করিনি।  কিন্তু আমরা দেখছি তিনি আমাদের বিরুদ্ধে ভুল অভিযোগ করছেন।'

জানতে চাইলে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শাহীনের ওপর আওয়ামী লীগ বা কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলা করার কোনো প্রশ্নই আসে না। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ কোথাও তাদের ওপর হামলা করেনি। সিংড়া উপজেলায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহীনের সঙ্গে বিএনপির অন্য গ্রুপের দ্বন্দ্ব আছে। আমার ধারণা তারাই হামলা করতে পারে। দেওয়ান শাহীন বা বিএনপির বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য। প্রকৃত ঘটনা তা নয়।'

জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দলের নেতাকর্মীরা আহত শাহীনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।'

'এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে,' বলেন তিনি।

Comments