২৪-এর অভ্যুত্থানে ছাত্রশিবিরকে সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছি: সারজিস

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত সদস্য সম্মেলনে সারজিস আলম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে খুনি হাসিনাসহ যারা আসবে তাদেরকেই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা যাবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত সদস্য সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় সারজিস বলেন, 'ছাত্রশিবিরকে আমরা ২৪-এ সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছি। তাদেরকে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পেয়েছি। রাজপথে থাকা, পরামর্শ দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সহযোদ্ধার ভূমিকা রেখেছিল ছাত্রশিবির। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সত্য কখনো চাপা রাখা যায় না। সত্য প্রকাশিত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।'

'গত ১৬ বছরে খুনি হাসিনা যাকেই তার পটেনশিয়াল থ্রেট মনে করেছিল, তাকেই যেভাবে পেরেছে নানা তকমা দিয়ে ব্লেম গেমে মেতে উঠেছিল। আমরা দেখেছি, অনেক নিরপরাধ মানুষকে, আলেম-ওলামাকে পটেনশিয়াল থ্রেট মনে করে তাদের জেলখানায় পুরে, হামলা-মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে', বলেন তিনি।

সারজিস বলেন, 'আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিল, সংগঠন ছিল, এই খুনি হাসিনা স্বাধীন দেশে বেঁচে থাকাটা যাদের জন্য দুঃসাধ্য করে রেখেছিল।'

'আমরা একটি কথা বলতে চাই- খুনি হাসিনা আপনাদেরসহ অনেককে যেভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে চেয়েছিল, সেটা নতুন প্রজন্ম বিশ্বাস করে না। বর্তমান প্রজন্ম অতটুকু বিবেকসম্পন্ন বলেই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে এবং তার দেওয়া প্রেসক্রিপশন বর্তমান প্রজন্ম গ্রহণ করে না বলেই তাকে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। আমরা আশা করি, কাজের মধ্য দিয়ে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা দেশের মানুষের কাছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন', বলেন তিনি।

সারজিস আরও বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ২৪-এর অভ্যুত্থানে যেভাবে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, এমনকি পরিকল্পনার টেবিলে একসঙ্গে বসে যেভাবে কাজ করেছি, ঠিক সেভাবে দেশের স্বার্থকে সবার ওপরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

13h ago