হাসিনাকে যতদিন ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, ততদিন কেউ যেন নির্বাচনের কথা না বলে: সারজিস

সারজিস আলম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে না নেওয়া পর্যন্ত কেউ যেন নির্বাচনের কথা না বলে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের ঢাকার রায়েরবাজারে অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র–জনতার কবর জিয়ারতের পর এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সারজিস বলেন, 'শহীদদের মায়েদের আহাজারির মধ্যে একটা কথা বলতে চাই, খুনি হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকারা জন্য অনেক ভাইকে খুন করতে দ্বিধা করেনি। অনেক ভাই আছেন, যাদের হত্যার পর খুনি হাসিনা কোথায় নিয়ে গেছে, এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।'

তিনি বলেন, 'শাপলাতে আমরা দেখেছি শত শত লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মায়েরা আহাজারি করে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আমরাও খুঁজে বেড়াচ্ছি। কিন্তু বলতে পারছি না যে লাশ খুঁজে পাব কি পাব না।'

'যেই ভাইয়ের লাশের জন্য মায়েরা এভাবে আহাজারি করছেন, যেই খুনির নির্দেশে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে, সেই খুনির বিচার না দেখা পর্যন্ত কীভাবে এই দেশে আমরা অন্য কিছুর চিন্তা করি,' বলেন তিনি।

সারজিস আরও বলেন, 'এই খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে হবে, আসবে, বিচারের মঞ্চে দাঁড়াবে, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াবে। যে ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন, আমরা যেন মরার আগে খুনি হাসিনার বিচার দেখে মরতে পারি।'

তিনি বলেন, 'হাসিনা তার দোসর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের ব্যবহার করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথাকথিত সদস্যদের ব্যবহার করে এই হত্যাগুলো ঘটিয়েছে। হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো মানুষ বা কোনো রাজনৈতিক দল যেন অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা না বলে।'

'আগে খুনি হাসিনার বিচার হতে হবে, আগে খুনগুলোর বিচার হতে হবে, তারপর অন্য কোনো কিছুর চিন্তা। আমরা এই সরকারকে অনেকবার বলেছি। রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা দায়িত্ব নিয়েছে। তারা যদি খুনি হাসিনার দৃশ্যমান বিচার না করতে পারে, তারা তাদের লেজিটিমেসি হারাবেন,' বলেন সারজিস।

তিনি আরও বলেন, 'বিচার এই অন্তর্বর্তী সরকারকেই করতে হবে। নির্বাচনের আগেই খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ফাঁসির মঞ্চে নিতে হবে। যতদিন হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, কেউ যেন ভুলক্রমেও বাংলাদেশে নির্বাচনের কথা না বলে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Govt move to hike port charges sparks concern

This will likely have a detrimental effect on the country's exports, alongside prices of imported products in domestic markets.

10h ago