দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি না করে সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

শুক্রবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এসব দাবি জানান।

দলটির প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আওয়ামী লীগকে এমনভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে যেন আবার তারা ফিরে আসতে না পারে এবং নতুন করে কেউ আওয়ামী লীগের মতো জুলুমবাজ-পাচারকারী হয়ে উঠতে না পারে। সেজন্য গণহত্যা-পাচারের বিচার জরুরি।

'জরুরি হলো সরকার ও ক্ষমতাসীনদের লুটপাট, পাচার করার সব আইনি সুযোগ বন্ধ করা। সেজন্য রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে এবং এমনভাবে করতে হবে যেন পরবর্তীতে কোনো সরকার বা বিচার বিভাগ তা বাতিল করতে না পারে। সেজন্য আমরা একই নির্বাচনে সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় নির্বাচনকে সবচেয়ে টেকসই উপায় বলে মনে করি,' যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ এক গভীর ষড়যন্ত্রের মুখে। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্ত করতে চায়। বাংলাদেশ কোনো বিদেশি শক্তির যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে না। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে।

আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য নাইমুল ইসলাম নয়ন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শেখ নাসিরউদ্দীন, ফরিদুল ইসলাম, সামিউল আলিম রাশু, আব্দুল জলিল; রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির দপ্তর সমন্বয়ক সারোয়ার আলম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি জিয়াউল ইসলাম সুমনসহ অনেকে।

সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক লিটন কবিরাজ ও সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদার।

মানববন্ধন শেষে মিছিল করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Malaysia agrees to recruit 'large number' of Bangladeshi workers

Assurance will be given to ensure their wages, safety, and overall welfare, according to ministry officials

1h ago