বিদেশে বসে সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশের মানুষের মেনে নেওয়া উচিত না: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জাতীয় বিষয়ে বিদেশে বসে সিদ্ধান্ত নিলে তা বাংলাদেশের মানুষের মেনে নেওয়া উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।

আজ শুক্রবার লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর সন্ধ্যায় টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, 'নির্বাচনের তারিখ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত করবে না। বিচার, সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য, সুনির্দিষ্ট একটা রোডম্যাপ ও দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়া কোনো একটি পক্ষের চাপে তাড়াহুড়ো করে দেশে নির্বাচন দেওয়া যাবে না।'

দেশের মর্যাদা ও স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দেশে বসে রাজনৈতিক আলোচনার চর্চা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিদেশে বসে আসলে এই ধরনের বৈঠক হওয়া উচিত না। সরকারকে অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিচার এবং সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।'

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, 'এটা তো সরকার একটি দলের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানুষ সিদ্ধান্ত নিবে এখন। এটা তো এটা জাতীয় বিষয়। এখন জাতীয় বিষয়ে একটি দলের সঙ্গে যদি বিদেশে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এটা তো বাংলাদেশের মানুষের মেনে নেওয়া উচিত না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকার একটি দলের সঙ্গে বসে নিতে পারে না।'

এর আগে ড. ইউনূস-তারেক বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি‌ অর্জন করা প্রয়োজন হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Trump, Putin in Alaska to end Ukraine war

Donald Trump and Vladimir Putin flew to Alaska yesterday for a high-risk summit that promises a stern test of the US president’s promise to end the bloody war in Ukraine.

5h ago