ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা: হাসনাত আবদুল্লাহ

চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। বেতন-ভাতা ফেরত দিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করা উচিত।

আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' কর্মসূচির পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'এই সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল। অভ্যুত্থানের পর আমরা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আগের মতো, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাও আগের মতো।'

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, আমরা তার জন্য মর্মাহত, শোকাহত। আপনারা গতকাল দেখেছেন, লাশের ওপর দিয়ে এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ আবার রাজনীতিতে আসতে চেষ্টা করছে। আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো শোকাহত। যারা বাংলাদেশকে ধারণ করি, সবাই শোকাহত। কিন্তু যদি আওয়ামী লীগ আবার উত্থানের চেষ্টা করে আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে এই আওয়ামী লীগকে নাই করে দেবো। যদিও আমরা আওয়ামী লীগের চাপটার ক্লোজ করেছি, এই আওয়ামী লীগ আবারও ফিরে আসার চেষ্টা করলে এখন আমরা তাদের নাই করে দেবো। এ জন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।'

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, 'বাংলাদেশের সিস্টেম সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই সরকার যেন অন্য কিছু চিন্তা না করে। আমরা দেখেছি এক বছরে শহীদদের মায়েদের কান্না করতে করতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। নতুন আরেক জুলাই এসেছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান বিচার লক্ষ্য করা যায়নি। জুলাই ঘটনার জন্য দায়ী খুনি হাসিনাসহ জড়িত সবার বিচার করতে হবে।'

সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক ও চাঁদপুরের বাসিন্দা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে, সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপি নেতারা। চাঁদপুরের পথসভার পর তাদের পদযাত্রা কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পথে হাজীগঞ্জে শহীদ আজাদ চত্বর উদ্বোধন ও শাহরাস্তির দোয়াভাঙ্গায় পথসভা করবেন তারা।

 

Comments

The Daily Star  | English
LDC graduation

Graduation or deferral: Is Bangladesh ready for the post-LDC era?

It now needs to be decided whether Bangladesh should actively pursue a deferral of LDC graduation.

6h ago