জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকী: কালিহাতীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তী উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল থেকে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।
সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তী উপলক্ষে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কালিহাতী আরএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করে।
অন্যদিকে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিনের নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি পক্ষ কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি সমাবেশ করে।
মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রম করার সময় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন, বলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে চারজন বেনজীর আহমেদের সমর্থক। তবে, তিনি আহতদের পরিচয় জানাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে বেনজীর আহমেদ ও লুৎফর রহমান মতিনের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মজনু মিয়া জানান, মিছিলে তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
'আমরা কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের কাছে লুৎফর রহমান মতিন, শুকুর মাহমুদ, ডা. শাহ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, আলী আকবর জব্বার ও আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে তাদের কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী সমর্থকদের নিয়ে আমাদের মিছিলে ঢুকে পড়ে এবং আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়,' দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন মজনু।
তার দাবি, হামলা তাদের ১০-১৫ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা কালিহাতী ও টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ। দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী লোকজন আমাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।'
'পরে কালিহাতীর মানুষ সেটা প্রতিহত করতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন,' যোগ করেন তিনি।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, 'বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এখনো কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।'
Comments