সংঘর্ষে সাতমসজিদ রোড রণক্ষেত্র

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোড।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘটনাস্থল থেকে এই তথ্য জানান দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা সাতমসজিদ রোডে জড়ো হন। এরপর তাদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো সাতমসজিদ রোডসহ এর আশেপাশের অলিগলিতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা ধানমন্ডির বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক থেকে শুরু করে আবাহনী মাঠ পর্যন্ত এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে ছাত্রলীগ কর্মী সন্দেহে দুইজনকে আটক করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের একজনের কাছ থেকে চাপাতি জব্দ করা হয়। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। অপরজন মারধরে আহত হয়ে একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান।

ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের বাংলাদেশ আই হাসপাতালের সামনে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টার প্রতিবেদক জানান, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের বাংলাদেশ আই হাসপাতালের সামনে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। তাদির বিপরীত পাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে এখনো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে।

এ ছাড়া ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়ক ও আবাহনী মাঠের সামনেও শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আছে। সেখানেও তাদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অনেকে আহত হয়েছেন। অন্তত ৬০ জন আন্দোলনকারী আহত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে করে। সেই সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ নিহত হন।

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

4h ago