৪০ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ, ৩ ফার্মেসিকে ৮০ হাজার জরিমানা

চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪০ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৩ ফার্মেসিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪০ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৩ ফার্মেসিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের ওষুধের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার হাজারি গলিতে অভিযান চালিয়ে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়।

ছাবিলা কমপ্লেক্স নামে একটি ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ২টি গুদাম থেকে এসব ওষুধ জব্দ করা হয়। আর যে ৩ ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে, সেগুলো হলো— সততা ফার্মেসি, নিয়ামত শাহ ফার্মেসি ও কাল ফার্মা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ও আব্দুল্লাহ আল মামুন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন আকন্দ রাজু ও কোতোয়ালী থানার পুলিশ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযানের সময় অনিবন্ধিত ওষুধ রাখা গুদামের মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা তাদের খোঁজ করছি।'

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের শুরুতে ৩টি ফার্মেসিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাবিলা কমপ্লেক্সে প্রবেশের চেষ্টা করলে সমস্যা দেখা দেয়। তখন ওষুধের দোকান বন্ধ করে মালিকরা বের হয়ে পড়েন। বাজার কমিটি, ফার্মেসি মালিক সমিতি ও স্থানীয় নেতাদের অনুরোধ সত্ত্বেও মালিকরা দোকান খুলতে রাজি হননি। এরপর কোতোয়ালী থানার একটি দল অভিযানে যোগ দেয়।

এক পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ছাবিলা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় একটি ও চতুর্থ তলার একটি গুদামের তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ওই ২টি গুদাম থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ পাওয়া গেছে।

প্রতীক দত্ত বলেন, 'মূলত এগুলো বিদেশি ওষুধ (অনিবন্ধিত)। বাংলাদেশের বাজারে বিক্রির জন্য নিবন্ধন প্রয়োজন থাকলেও এসব ওষুধের প্যাকেজিংয়ে কোনো নিবন্ধন নম্বর নেই। ওষুধগুলো বেশিরভাগই ভারত ও থাইল্যান্ডের।'

Comments