চসিকের প্রকল্প পরিচালকের ওপর হামলা ও কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ

চসিক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকের কক্ষে গিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়েছে একদল ঠিকাদার।

আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

'কাজ না দেওয়ায়' প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীর ওপর ঠিকাদাররা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ চসিক কর্মকর্তাদের।

হামলার তথ্য নিশ্চিত করে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'যারা অন্যায়ভাবে কাজ পেতে চায়, তারা এই হামলা চালিয়েছে।'

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের ৪ তলায় ২০-৩০ জনের একটি দল প্রকল্প পরিচালক ইয়াজদানীর কক্ষে প্রবেশ করে ও তাকে মারধর করে। 

হামলাকারীরা প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ভেঙে ফেলে। ছবি: সংগৃহীত

এসময় হামলাকারীরা প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ও নামফলক ভেঙে ফেলে।

হামলার শিকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত বছরের ১৪ আগস্ট চসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। 

বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার এ প্রকল্প সম্প্রতি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, 'এটার জন্য আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।'

কারা হামলা চালিয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, 'যারা অন্যায়ভাবে কাজ পেতে চায়, তারা এই হামলা চালিয়েছে। শুনেছি কিছুদিন আগেও তারা এলজিইডিতে কাজ না পেয়ে এ ধরনের হামলা চালিয়েছে। এ কারণে সেখান থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।'

'হামলাকারীরা যদি চসিকের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার হন, তবে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে,' যোগ করেন মেয়র।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

7h ago