ডেঙ্গু

জব্দ করে ১৫০ লিটার স্যালাইন পাঠানো হলো হাসপাতালে

আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোতে ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। স্যালাইনের ব্যাগে মূল্য ১০০ টাকা লেখা থাকলেও বাড়তি চাহিদার সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ফেলেছেন।
চট্টগ্রামে হাজারী গলিতে ওষুদের পাইকারি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ লিটার ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যলাইন (ডিএনএস) জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব স্যালাইন পরে একটি হাসপাতালের ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে বিক্রি করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে ৩টি দোকানকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

জানতে চাইলে প্রতীক দত্ত বলেন, চট্টগ্রামে গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অন্তত ২ হাজার ২৪১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে এখন ভর্তি আছেন ২৭৪ জন। রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিএনএস স্যালাইনের চাহিদাও বেড়েছে।

তিনি বলেন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোতে ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। স্যালাইনের ব্যাগে মূল্য ১০০ টাকা লেখা থাকলেও বাড়তি চাহিদার সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ফেলেছেন।

প্রতীক বলেন, এই স্যালাইন গতকাল ৫০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। খবর পেয়ে আজ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে অভিযান চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে বরাবরের মতো দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। বেঙ্গল ফার্মেসী ও চট্টলা ফার্মেসি নামক দুটি দোকানে মাত্র ১৫০ লিটার ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়। পরে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে এই ওষুধ বিক্রি করা হয়। এরপর হাজারী গলির খাজা মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ জব্দ করা হয়। তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে তিন দোকানে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজারে ডিএনএস স্যালাইনের সংকট রয়েছে। আমরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলব। বাজারে স্যালাইনের সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago