নির্মাণকাজ চলাকালে ধসে পড়ল চসিক প্রকল্পের কবরস্থানের দেয়াল

ধসে যাওয়া কাজীর দেউড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন কবরস্থানের সুরক্ষা দেয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্মাণকাজ চলার মধ্যেই চট্টগ্রামের ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাজীর দেউড়ি এলাকায় কবরস্থানের সুরক্ষা দেয়াল ধসে গেছে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ও বড় বড় গাছ কাটার কারণে মাটি নরম হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

গত দুই দিনের থেমে থেমে হওয়া বর্ষণে নালার পাশে থাকা ২০০ ফিটের সুরক্ষা দেওয়ালের একাংশ ধসে পড়েছে রোববার দিবাগত রাতে।

যে স্থানে এই ঘটনা তার ঠিক ২০ গজ দূরেই চসিকের স্থানীয় ১৫ নম্বর বাগমনিরাম কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনের অফিস।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কাজির দেউড়ি ১ নম্বর গলির কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল এবং রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক উন্নয়নের কাজ পায় মেসার্স ফারিয়া এন্টারপ্রাইজ।

এক বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের ব্যয় ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬২ টাকা। এই প্রকল্প কাগজে কলমে ১ নভেম্বর ২০২৩ এ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে এ বছরের মার্চের শুরুর দিকে। 

স্থানীয়রা জানান, কাজের শুরুতেই কবরস্থানে থাকা বড় বড় গাছ এবং একাধিক বড় বাঁশঝাড় কেটে সাফ করে দেন ঠিকাদার। পরে বুলডোজার দিয়ে সমান করা হয় পুরো কবরস্থান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুরক্ষা দেয়াল দেওয়ার কথা থাকলেও পুরোনো দেয়ালের উপরেই নতুন করে ইট বসিয়ে লোক দেখানো কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। গত এক মাস ধরে কাজও বন্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রমজান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাজ করেনি। তারা নিম্নমানের ইট ও সিমেন্ট দিয়েই কাজ করে গেছে। মাটি ভরাট ঠিকমতো না করেই কাজ করায় সুরক্ষা দেয়াল ধসে গেছে।'

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়। আমাদের কাজ চলছে, এখনো শেষ হয়নি। আর আমাদের দরপত্রের যে স্থানের কাজের কথা বলা আছে সেখান থেকে ধসে যায়নি।'

'সেখানে আমাদের কাজ বন্ধ আছে আপাতত। কবরস্থানের পাশে ওয়াকওয়ে (হাঁটার জায়গা) হবে। ২০০ ফিটের মধ্যে ৫৫ ফিট সুরক্ষা দেয়ালের কাজ আমরা পেয়েছি। বাকি অংশে আগে থেকেই ফাটল ছিল,' দাবি করেন সাইফুল।

অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে অভিযোগ ঠিক নয়। রিটেইনিং ওয়ালের কার্যাদেশ হয়নি। শুধু সীমানা প্রাচীরের কাজের কার্যাদেশ হয়েছে। দেয়াল ধসের বিষয়টা জানি। এই ফাটল আগে থেকেই ছিল। রিটেইনিং ওয়ালের কাজের জন্য থোক বরাদ্দ চেয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।' 

Comments

The Daily Star  | English

July charter implementation: What notes of dissent could mean

The July National Charter, finalised after weeks of consensus talks, faces a delicate challenge over notes of dissent, most of them from the BNP and its allies.

15h ago