আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলা: আসামিপক্ষে ওকালতনামা দিয়ে তোপের মুখে পিপি, এপিপির ‘পদত্যাগ’

মহানগর পিপির কার্যালয়ে জড়ো হন সাধারণ আইনজীবীরা। ছবি: সংগৃহীত

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে দুই আসামির পক্ষে ওকালতনামা জমা দিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নেজাম উদ্দিন। ঘণ্টাব্যাপী তাকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্র আদায় করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়ারও পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।

সোমবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে মহানগর পিপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার মো. নুরু ও মো. দেলোয়ার হোসেন নামে দুই আসামির পক্ষে সোমবার জামিনের আবেদন করেন সানজিদা গফুর নামে এক আইনজীবী। সেখানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নেজাম উদ্দিনের ওকালতনামা ব্যবহার করেন। খবর পেয়ে মহানগর পিপির কার্যালয়ে জড়ো হন সাধারণ আইনজীবীরা। পিপি ও এপিপির পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে এপিপির কাছ থেকে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখিয়ে নেন তারা।

বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের অভিযোগ, সাইফুল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামিদের জামিনের জন্য মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া তার জুনিয়রকে (এপিপি) দিয়ে আবেদন করিয়েছেন। একজন সরকারি কৌঁসুলি হওয়া সত্ত্বেও গ্রেপ্তার আসামিদের জামিন প্রার্থনা করে তিনি পিপি পদের অমর্যাদা করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশরাফুল হোসেন চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পিপি মফিজুল হকের জুনিয়র নেজামের ওকালতনামা জমা দিয়েছেন তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট সানজিদা। কিন্তু তাতে নেজামের সিল কিংবা সই ছিল না, তাই নেজামকে সরাসরি দোষ দেওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগপত্রে সই করেছেন।

এই পদত্যাগ আইন সম্মত কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এপিপি পদত্যাগ করতে হলে জেলা প্রশাসকের সামনে সশরীরে গিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করতে হবে। অন্যথায় আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এভাবে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্রে সই করা আইনসম্মত নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

9h ago