আজ কিছু ‘টাইপিং’ করুন

চিঠি লেখার দিন শেষ হয়েছে অনেক আগে। তাই বলে কী প্রিয়জনকে কিছু লিখবেন না? তাতো হয় না। ভার্চুয়ালি প্রিয়জনকে বিভিন্নভাবে শুভেচ্ছা বা মনের কথা লেখা যায়। এই কাজটিকে সহজ করে দিয়েছে ইমেইল, মোবাইল, সামাজিক মাধ্যমের মতো প্লাটফর্ম। শুধু এসব প্লাটফর্মে গিয়ে মনের কথাটুকু টাইপিং করতে হবে। সেটা আজ করলে আরও ভালো হয়। কারণ, আজ ৮ জানুয়ারি টাইপিং দিবস।
টাইপিং দিবস

চিঠি লেখার দিন শেষ হয়েছে অনেক আগে। তাই বলে কী প্রিয়জনকে কিছু লিখবেন না? তাতো হয় না। ভার্চুয়ালি প্রিয়জনকে বিভিন্নভাবে শুভেচ্ছা বা মনের কথা লেখা যায়। এই কাজটিকে সহজ করে দিয়েছে ইমেইল, মোবাইল, সামাজিক মাধ্যমের মতো প্লাটফর্ম। শুধু এসব প্লাটফর্মে গিয়ে মনের কথাটুকু টাইপিং করতে হবে। সেটা আজ করলে আরও ভালো হয়। কারণ, আজ ৮ জানুয়ারি টাইপিং দিবস।

প্রতি বছরের ৮ জানুয়ারি বিশ্ব টাইপিং দিবস উদযাপিত হয়। এই দিনটির যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। কারণ, টাইপিং ছাড়া আমরা এখন একটি দিনও কল্পনা করতে পারি না। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করেছে টাইপিং। আমরা প্রতিনিয়ত ফোন, আইপ্যাড বা কম্পিউটারে টাইপিং করছি। এমনকি ইন্টারনেটে কিছু খুঁজতে হলেও ব্রাউজারে গিয়ে টাইপিং করতে হয়।

এখন আপনি যদি কাউকে প্রশ্ন করেন, 'টাইপিং' শব্দটি শুনলে কী মনে আসে? তাহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাবেন। কেউ কেউ তাত্ক্ষণিকভাবে হয়তো ইমেল টেক্সট পাঠানোর কথা বলবেন। আবার কেউ কেউ পুরনো দিনের সেই টাইপরাইটারের কথা বলতে পারেন। যার খটখট শব্দে মুখর থাকত ডাকঘর থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস, আদালত।

টাইপিং দিবস উদযাপনের আগে একটু পেছনে ফেরা যাক। প্রথম বাণিজ্যিক টাইপরাইটার চালু হয়েছিল ১৮৭৪ সালে। ১৮৮০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত টাইপরাইটারের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়নি। কিন্তু, এই আবিষ্কারের পর বিশ্বে টাইপরাইটাররা আলাদা গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। বিভিন্ন অফিস ও ব্যবসায়ীরা টাইপরাইটার নিয়োগ দিতে শুরু করেন। এতে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। যা মানুষকে শিখিয়েছে কীভাবে টাইপ করতে হয়, সংক্ষিপ্ত ও তথ্যপূর্ণ লিখিত নথি একত্রিত করতে হয়। একইসঙ্গে লিখিত যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।

টাইপিংয়ের গতি, নির্ভুলতা এবং দক্ষতা বাড়াতে বিশ্ব টাইপিং দিবসের প্রচলন হয়। দিবসটি মালয়েশিয়াতে প্রথম উদযাপিত হয়। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয় স্পিড টাইপিং প্রতিযোগিতাটি ছিল প্রথম ইভেন্ট, যা টাইপিং দিবসকে বিশ্ব ক্যালেন্ডারের যুক্ত করেছিল।

এখন আর টাইপরাইটার তেমন দেখা যায় না। কিন্তু, টাইপিং বন্ধ হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। শুধু মাধ্যম পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ কীবোর্ড, মোবাইলে প্রতিনিয়ত টাইপিং করছেন।

বিশ্ব টাইপিং দিবস উদযাপনের সেরা উপায় হলো প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানো বা ব্লগ লেখা। এজন্য যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারেন। হতে পারে ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ, একটি ফেসবুক পোস্ট, বা একটি দীর্ঘ ক্যাপশনযুক্ত ইনস্টাগ্রাম পোস্ট লেখা।

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur Nuclear Power Plant: First unit to start production in Dec

One of the two units of the Rooppur Nuclear Power Plant will be commissioned this December if transmission lines are ready although the deadline for the project’s completion has been extended to 2027.

7h ago