আজ বাইসাইকেল দিবস

বিশ্বব্যাপী মানুষের যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম বাইসাইকেল। এটি আমাদের ফিট থাকতেও সহায়তা করে।
বাইসাইকেল, দিবস, বিচিত্র দিবস,
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

কমবেশি আমার সবাই বাইসাইকেল চালাতে পারি। অনেকের কৈশোরের প্রিয় বাহন এই বাইসাইকেল। বাইসাইকেলের প্যাডেল চেপে স্কুলে যাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার অনেক স্মৃতি আমাদের আছে। তাই বলা যায়, বাইসাইকেলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব সেই ছোটবেলা থেকে শুরু হয়।

শুধু আমাদের কাছে নয়, বিশ্বব্যাপী মানুষের যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম বাইসাইকেল। এটি আমাদের ফিট থাকতেও সহায়তা করে।

যাইহোক, আজ ৩ জুন বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস। বিশ্বব্যাপী বাইসাইকেলকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এই দিবসটির প্রচলন করে। কারণ বাইসাইকেল পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর একটি যাতায়াত মাধ্যম। তাই বাইসাইকেলের ব্যবহার যত বাড়বে আমাদের পরিবেশের জন্য তত ভালো।

মোট কথা, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর একটি বাইসাইকেল। তাই বিভিন্ন কারণে জাতিসংঘ বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস পালন করে আসছে।

আচ্ছা আপনি প্রথম কীভাবে বাইসাইকেল পেয়েছিলেন সেই কথা কী মনে আছে? কিংবা কীভাবে সাইকেল চালানো শিখেছিলেন সেই স্মৃতি কি মনে পড়ে? আজ যেহেতু বাইসাইকেল দিবস, তাই একটু নস্টালজিক হতে পারেন। ফিরে যেতে পারেন পুরোনো সেই স্মৃতির কাছে। বাইসাইকেল চালানোর মতো আনন্দের আর কিছুই নেই। বাইসাইকেল সহজ ও টেকসই পরিবহন মাধ্যম। সাইকেল চালানো আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একজন অধ্যাপক লেসজেক সিবিলস্কি, তিনি বাইসাইকেল নিয়ে একটি প্রচারাভিযান শুরু করেন। তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল জাতিসংঘ বিশ্বে সাইকেলের সমর্থনে একটি দিন নির্ধারণ করবে। ২০১৫ সালে সিবিলস্কি একটি একাডেমিক প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই প্রকল্পটি একটি বড় আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত বাইসাইকেলের জন্য জাতিসংঘ একটি দিন নির্ধারিত করে। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র সর্বসম্মতিক্রমে ৩ জুনকে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই প্রস্তাবে তুর্কমেনিস্তান ব্যাপক সমর্থন জানিয়েছিল এবং প্রায় ৫৬টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল।

Comments