নারী প্রকৌশলীদের দিন আজ
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। প্রকৌশল বিদ্যাতেও পিছিয়ে নেই তারা। আর যেসব নারী প্রকৌশলী আজ তাদের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। কারণ, আজ ২৩ জুন 'ইন্টারন্যাশনাল উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডে', যাকে সহজ ও ছোট করে আমরা নারী প্রকৌশলী দিবস বলতে পারি।
মূলত এটি একটি সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, যেন নারীরা প্রকৌশলী পেশায় আগ্রহী হন এবং এখানে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নেন। বিশ্বজুড়ে নারী প্রকৌশলীদের সাফল্য উদযাপনে দিবসটির প্রচলন হয়।
আমরা যে আধুনিকতার মাঝে বাস করি কিংবা জীবনযাপন করি তার অনেক কৃতিত্ব প্রকৌশল বিজ্ঞানের। যেমন- আমরা যে সুন্দর ফ্লাটটাতে থাকি, কিংবা যে গাড়িটা চড়ি; প্রকৌশলীদের মাধ্যমে পেয়েছি। তারা এগুলোর আরও আধুনিকায়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।
ডে'জ অব দ্য ইয়ারের তথ্য অনুযায়ী, উইমেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি (ডব্লিউইএস) ৯৫তম বার্ষিকী উদযাপনে ২০১৪ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি চালু করে। ২০১৪ সালে এটি চালু হওয়ার পরবর্তী বছর দিনটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। পরে, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো 'ইন্টারন্যাশনাল উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডে' পালিত হয়। সব সরকারি, শিক্ষামূলক, প্রাতিষ্ঠানিক ও করপোরেট প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানকে দিবসটির সমর্থনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে উত্সাহিত করা হয়। মূলত নারীদের প্রকৌশল বিদ্যায় উৎসাহিত করা এই দিবসটির অন্যতম উদ্দেশ্য।
দিবসটি চালু করা উইমেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি হলো একটি দাতব্য সংস্থা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে এই সংস্থাটির পথচলা শুরু হয়। কারণ, যুদ্ধের সময় অনেক নারী প্রকৌশলের চাকরি নিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতেও কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তাদের কল্যাণেই এই সংস্থাটি গড়ে উঠেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রকৌশলে নারীদের কাজের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এবং চিত্তাকর্ষক। গত ১০০ বছরে প্রকৌশলে নারীদের অবিশ্বাস্য অনেক অর্জন আছে।
আজকের দিনটি উদযাপনের সেরা উপায় হলো আপনার পরিচিত নারী প্রকৌশলীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।
Comments