গাজায় নিহত ৫ হাজার ছাড়াল, আহত ১৫ হাজারের বেশি
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ হাজার ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ হাজার ২৭৩ জন।
এ ছাড়া, পশ্চিম তীরে অন্তত ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও এক হাজার ৮২৮ জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আজ সোমবার সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিতে রকেট হামলা চালায়। তারা ইসরায়েল থেকে প্রায় ২০০ জনকে অপহরণ করে জিম্মি করেছে বলেও দাবি করে।
এরপর থেকে গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, গির্জা, আবাসিক ভবনে প্রতিদিন ইসরায়েলি হামলা চলছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় স্থল হামলার ঘোষণাও দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে এর মধ্যে ইসরায়েল অন্তত ২৫০ বার হামলা চালিয়েছে। এতে অবরুদ্ধ গাজার জনসংখ্যার একটি বড় অংশ পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছে না।
গাজা উপত্যকার ২৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১০টিতে বর্তমানে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নয়টি হাসপাতাল 'ধ্বংস' হয়েছে অথবা সরবরাহ বন্ধের কারণে 'অকার্যকর' হয়ে পড়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৪ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন এবং ৯০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স।
ইতোমধ্যে গাজায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং পানিদূষণের কারণে গুটিবসন্ত, চর্মরোগ ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, হাসপাতালগুলোতে সক্ষমতার বেশি সেবা দিতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন থিয়েটারে মোবাইল ফোনের আলো ব্যবহার করতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ৭০০ জনকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। কিন্তু হাসপাতালটিকে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ হাজার জনকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
গাজার প্রায় ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীর বর্তমানে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।
Comments