যেসব কারণে দক্ষ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় কাতার

সাম্প্রতিক সময়ে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বে ষষ্ঠ ও গ্যাস মজুতের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশ কাতার বিশ্ব রাজনীতিতে, তথা মধ্যপ্রাচ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কাতারের রাজধানী দোহা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
কাতারের রাজধানী দোহা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি কাতারের মধ্যস্থতায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। ইতোমধ্যে এই চুক্তির আওতায় মুক্তি পেয়েছে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন জিম্মি ও বন্দি। 

সাম্প্রতিক সময়ে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বে ষষ্ঠ ও গ্যাস মজুতের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশ কাতার বিশ্ব রাজনীতিতে, তথা মধ্যপ্রাচ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্লেষকদের মতে, কাতার এখন এ অঞ্চলের সবচেয়ে দক্ষ মধ্যস্থতাকারী। 

কাতারের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে ইরানের ইবরাহিম রাইসি। ছবি: রয়টার্স
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে ইরানের ইবরাহিম রাইসি। ছবি: রয়টার্স

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কাতারেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যাকে আখ্যা দিচ্ছে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে- সেই হামাসকেও মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কাতারের বিরুদ্ধে। কিন্ত তা সত্ত্বেও, কাতারকেই এখন বিশ্লেষকরা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের তকমা দিচ্ছেন। 

২০১২ সাল থেকে কাতারের দোহায় রয়েছে হামাসের একটি কার্যালয়। এ বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার পরও হামাসকে সমর্থন দিয়ে চলেছে কাতার- এমন অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর টেড ক্রুজ বলেছেন, ' সন্ত্রাসী হামলা চালানো গণহত্যাকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কাতার। যুক্তরাজ্যের ছায়া মন্ত্রী ক্রিস ব্রায়ান্টও সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে তাগাদা দিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে হামাস ইস্যুতে কাতারের সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে।

কাতার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

কাতারের আমিরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: এএফপি
কাতারের আমিরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: এএফপি

২০২১ এর মার্চ থেকে ২০২৩ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জিম্মি মুক্তি বিষয়ক পরিচালক পদে থাকা ক্রিস্টোফার ও'লিয়ারির মতে, 'কাতারিরা ব্যতিক্রমী মধ্যস্থতাকারী, খুবই উজ্জীবিত ও দ্বন্দ্ব নিরসনে সহায়তা করতে খুব উৎসাহী।'

ও'লিয়ারি তার জীবনের বড় একটি সময় কাটিয়েছেন এফবিআই এজেন্ট হিসেবে। বর্তমানে তিনি সোউফান গ্রুপ নামে একটি সিকিউরিটি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন তিনি। স্মৃতি হাতড়ে তিনি ফিরে যান অতীতে। জানান নাইন ইলেভেনের পরের সময়টার কথা৷ সে সময় কাতার আল কায়েদাকে সহায়তা করছে বলে ধারণা করেছিল এফবিআই। ২০০৩ এ  ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধেও কাতারের সমর্থন ইরাকের দিকেই ছিল—এমনটিই ভেবেছিলেন তারা। তবে এ নিয়ে তদন্ত করেও কোনো তথ্য-প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে কাতারের বিরুদ্ধে কোন বিধিনিষেধও আরোপ করতে পারেনি দেশটি।

এক্ষেত্রে ব্যাপারটি সাদা-কালো বা নিছক শত্রু-মিত্র খেলায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে কাতারের আস্থার সম্পর্ক আছে। এর পেছনে তাদের তেল ও গ্যাস সঞ্চয়ের বড় ভূমিকা আছে।র

কাতারের শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দেশটির ক্ষমতায় রয়েছেন এক দশক হলো। গেল বছর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা ও ইউরোপের দেশগুলোর গ্যাস সরবরাহের জন্য রাশিয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া কাতারকে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, কাতার যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর শ্রমশক্তি রপ্তানি করে। আবার, ইরানের সঙ্গে দেশটির প্রাকৃতিক গ্যাস খাতের অংশিদারিত্ব রয়েছে। যার ফলে ইরান ও আফগানিস্তানের জিম্মিদের ক্ষেত্রে আলোচনায় বসার সুযোগ সহজেই পেয়েছে কাতার৷

সাম্প্রতিক সময়ে নিজ ভৌগলিক প্রভাব বলয়ের বাইরেও পা ফেলছে কাতার। ২০২১ এ মিয়ানমার থেকে অপহৃত মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেন্সটারকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা রাখে কাতার। সে বছরে অক্টোবরে ইউক্রেন থেকে অপহরণ করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া শিশুদের মুক্তির ব্যাপারেও ভূমিকা রাখে কাতার৷

ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে কাতারের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুলরাহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে বৈঠক করছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সমন্বয়ক ব্রেট ম্যাকগার্ক। ছবি: রয়টার্স
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুলরাহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে বৈঠক করছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সমন্বয়ক ব্রেট ম্যাকগার্ক। ছবি: রয়টার্স

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। এ সময় ২৪০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের মানুষকে মুক্তি করে এই সশস্ত্র সংগঠন। এই জিম্মি মুক্তির আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে কাতার। এক্ষেত্রে দেশটির কট্টর মুসলিম দল ও সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ বা  বাধা নিয়ে ভাবতে হচ্ছেনা কাতারকে।

বরং, একদিকে হামাসকে আশ্রয় দান, অপরদিকে ইসরায়েলের জন্য ব্যবসাকেন্দ্র খোলার সুযোগ দিয়ে দুই পক্ষেরই আস্থা অর্জন করতে চাইছে কাতার।

তাদের আল উদায়েদ সামরিক বিমান ঘাঁটিতে হাজারো মার্কিন সেনা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য হামাসের ওপর হামলার জন্য ইসরায়েলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তবে কাতারের সঙ্গে হামাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জিম্মিদের মুক্ত হবার পথও করে দিয়েছে।

২০১২ সালে হামাস সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছিল। দোহা আশ্রয় দিয়েছিলো হামাসকে।  সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সিদ্ধান্ত নেয় কাতার।

হামাসের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থসাহায্যও কাজে লাগায় কাতার। সে সময় সিরিয়ার পক্ষে থাকা ইরানের বিপক্ষে হামাসকে কাজে লাগানোর চিন্তা করেছিলো কাতার।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈঠক করতে যান। ছবি: রয়টার্স
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈঠক করতে যান। ছবি: রয়টার্স

অক্টোবরের ২৪ তারিখে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলেন, 'কাতারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের আরও বেশি চাপ দেওয়া প্রয়োজন। তারা হামাসকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। তারা (কাতার) যেন জিম্মিদের অতিসত্বর মুক্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।'

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো সে সময় মত দেন, 'কাতার যদি চায়, তবে অবশ্যই জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে চাপ দিতে পারে।'

তবে ২৪০ জন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলকেও বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানায় কাতার।

পরবর্তীতে কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই যুদ্ধবিরতি। চার দিনে মুক্তি পাবেন ৫০ ইসরায়েলি জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা ১৫০ ফিলিস্তিনি নাগরিক।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বেসামরিক নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে যুদ্ধবিরতির কথা ভাবলেও জো বাইডেন হামাসকে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবার পক্ষে ছিলেন।

এক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতির জন্য আরব দেশগুলোর উদ্যোগ জরুরি ছিল। সেদিক থেকেও নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে কাতার।

সৌদি আরব, মিশর, তুরস্কের বদলে যেভাব দৃশ্যপটে এলো কাতার

রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার ইন্সটিটিউট ফর পাবলিক পলিসির ফেলো ক্রিশ্চিয়ান কোটস উলরিকসেন বলেন, '(কাতারের মতো) তৃতীয় পক্ষগুলো সক্রিয় থাকায়, আমরা, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, যেসব ক্ষেত্রে সরাসরি জড়িত হতে চাই না, সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে তাদের মাধ্যমে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।'

এক্ষেত্রে মধ্যস্থতার জন্য তুরস্কও ভূমিকা রাখতে পারতো। কিন্তু ইসরায়েলের বিপক্ষে অক্টোবরের ৭ তারিখ থেকেই ইসরায়েল বিরোধী, নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে গেছেন দেশটির নেতা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ফাইল ছবি: এএফপি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ফাইল ছবি: এএফপি

তাই তুরস্কের ওপর ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র ভরসা রাখতে পারেনি।

তবে আরব বিশ্ব থেকেই কোনো একটি দেশের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। আঙ্কারার সঙ্গে মিলে দোহা সেই ভূমিকা গ্রহণ করল।

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তির ক্ষেত্রে ওমান মধ্যস্থতা করেছিলো। কিন্তু হামাসের ওপর তাদের স্পষ্ট কোনো প্রভাব ছিল না।

এর আগে এমন মধ্যস্থতায় মিশরকেই দেখা গেছে বেশি। সে জায়গায় কাতারের আগমন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারতো।

কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান বারাকাতের মতে, 'কাতারের আঞ্চলিক কূটনৈতিক সাফল্য মূলত স্বল্প সময় ধরে চলা দ্বন্দ্বগুলোর ক্ষেত্রে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে তারা কতখানি ভূমিকা রাখতে পারবে, তা নিশ্চিত নয়।'

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি। ছবি: রয়টার্স
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি। ছবি: রয়টার্স

তবে মিশরের তুলনায় কাতারকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অপেক্ষাকৃত ভালো বলে মানছেন তিনি।

'ইসরায়েল লাখো ফিলিস্তিনিকে সিনাইয়ে পাঠাতে চায়। কিন্তু মিশর তা চায় না, কারণ শরণার্থীর ভারে তারাও ভুক্তভোগী হবে', যোগ করেন তিনি।

জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নও এসব কারণেই মিশরের বদলে কাতারেই আস্থা রাখছে।

এক্ষেত্রে সৌদি আরবও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের অবস্থান হারিয়েছে।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। ছবি: রয়টার্স
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। ছবি: রয়টার্স

বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে তারা ফিলিস্তিনিদের আস্থা হারিয়েছে। এক অর্থে বলা যায়, ২০২০ এ  যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় করা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি, 'আব্রাহাম অ্যাকর্ড' এ সাক্ষর করা সব দেশ কম-বেশি হারিয়েছে ফিলিস্তিন বা হামাস সংযুক্ত যেকোনো বিষয়ে মধ্যস্থতা করার যোগ্যতা।

এই সুযোগটি তাই অনেক বড় হয়ে ধরা দিয়েছে কাতারের জন্য।

ধনী এই দেশ যদি ইসরায়েল-হামাসের দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করে সে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তবে আরব বিশ্বে কূটনৈতিকভাবে তাদের অবস্থান নিঃসন্দেহে খুব সংহত হয়ে উঠবে।

সূত্র: নিউইয়র্কার, রয়টার্স, এএফপি, হারেৎজ, টাইম অব ইসরায়েল ও এএফপি 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago